সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইডেনে (Sweden) কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখানোর ঘটনায় নজিরবিহীন কাণ্ড রাষ্ট্রসংঘে (United Nation)। ওই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল মুসলিম বিশ্ব। পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশ তীব্র নিন্দা জানায়। ঘটনার পর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে বিশেষ বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)। সেই বৈঠকেই পাকিস্তানকে সমর্থন করল ভারত, চিন-সহ একাধিক দেশ।
বুধবার রাষ্ট্রসংঘে মানবাধিকার কমিশনে বিশেষ বৈঠকে ধর্মীয় বিদ্বেষের প্রসঙ্গ ওঠে। অধিকাংশ দেশ একমত হয় যে কোরান পুড়িয়ে বিশ্বের বিরাট অংশের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। যা ইউরোপ-সহ গোটা পৃথিবীতে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করবে। ঘটনার নিন্দা প্রস্তাবে ২৮-১২ ভোট পড়ে। পাকিস্তান এবং প্যালেস্টাইনের নিন্দা প্রস্তাবকে সমর্থন করে আফ্রিকা মহাদেশের একাধিক দেশ, মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ। এছাড়াও ভারত এবং চিনের মতো উন্নয়নশীল দেশও সমর্থন করে পাকিস্তানের স্বপক্ষে মত দেয়।
[আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ঝাঁজরা রুশ অফিসার, রহস্যমৃত্যু ঘিরে বাড়ছে চাঞ্চল্য]
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাল ভুট্টো জারদারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বলেন, ”এই ধরনের ঘটনা ইসলামোফোবিয়া, হেট স্পিচ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ব্যবধান বাড়ছে। সহিংসতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।” রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, ”মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া, ইহুদিবিদ্বেষ, খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনওটাই গ্রহণযোগ্য নয়।” তাঁর কথায় এই সবকিছুই অন্যায় এবং বন্ধ হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই জাপান সাগরে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া!]
উল্লেখ্য, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্ঠাগুলিকে মাড়িয়েও দেন। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার মুখে পড়েছে সুইডেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয় ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওপেক (OPEC)।