সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কর্মীদের ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট, গুগলের মতো বিখ্যাত সংস্থাগুলি। এক ধাক্কায় কার্যত বিনা নোটিসেই চাকরি হারাচ্ছেন বহু কর্মীরা। মাত্র কয়েকদিন আগে একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলে মাইক্রোসফট। তারপরেই নয়া বিপাকে পড়েছেন মার্কিন (USA) নিবাসী ভারতীয়রা। চাকরি হারানোর (Layoff) পাশাপাশি আমেরিকায় থাকা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। কারণ চাকরি না থাকলে ওয়ার্ক ভিসাও বাতিল হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত আমেরিকার ভারতীয়রা।
মার্কিন সংবাদপত্রের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকে প্রায় দুই লক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বিখ্যাত সংস্থাগুলি। এর মধ্যে প্রায় চল্লিশ শতাংশ কর্মীই ভারতীয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এইচ ওয়ান বি ও এল ওয়ান ভিসা নিয়ে আমেরিকায় রয়েছেন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজে না পেলে তাঁদের ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে। কারণ ৬০ দিন চাকরিবিহীন অবস্থায় থাকলে এই ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যাবে। তখন ভারতে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
[আরও পড়ুন: ‘নিরপেক্ষতা নেই’, বিবিসির বিতর্কিত মোদি ডকু-সিরিজ নিয়ে তদন্তের দাবি উঠল ব্রিটেনেই]
বিশ্বজুড়ে ছাঁটাইয়ের মধ্যে নতুন করে চাকরি পাওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন সদ্য চাকরি হারানো ভারতীয়রা। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতীয় কমিউনিটি লিডার অজয় জৈন ভুতোরিয়ার মতে, “ছাঁটাইয়ের ফলে প্রবল সমস্যায় পড়বে ভারতীয় কর্মীদের পরিবা:র। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা ব্যাহত হবে। এহেন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন পরে কর্মীদের ছাঁটাই করতে পারে সংস্থাগুলি। তাহলে অন্য জায়গায় চাকরি পেতে সুবিধা হবে তাঁদের। ” জানা গিয়েছে, নানাধরনের ভিসার জন্য আবেদন অরছেন ভারতীয়রা, যেন আমেরিকায় বসবাস করতে পারেন তাঁরা। কিছুটা সময় নিয়ে চাকরির খোঁজ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এক ধাক্কায় ১১ হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলার ঘোষণা করেছে গুগল। কর্মীছাঁটাইয়ের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন গুগল (Google) সিইও সুন্দর পিচাই। ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের অর্থ মোট কর্মী সংখ্যার ৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলা। আগামী দিনের প্রতিযোগিতার বাজারের কথা মাথায় রেখেই এহেন সিদ্ধান্ত বলেও জানায় গুগল। কিন্তু এত পরিমাণ লাভের পরও কেন কর্মীদের বেকারত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কর্মী সংগঠন। তবে চাকরি হারানো কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে।