সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারের পর থেকে লাগাতার একে অপরের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান-ইজরায়েল। রবিবার সকালে ফের হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে দুই দেশ। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সদর দপ্তর এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল। পালটা তেল আভিভ লক্ষ্য করে হামলা ইরানেরও। তেহরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলের উপর আঘাত হেনেছে হাউথিরা। দুই দেশ মিলিয়ে অন্তত ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায় ইজরায়েল। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। পালটা দিয়ে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ শুরু করে ইরান। তেল আভিভের একাধিক এলাকায় আছড়ে ইরানের ড্রোন আক্রমণ। হামলার পর রাষ্ট্রসংঘে ইরানের প্রতিনিধি জানান, অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি হামলায়। আহত তিনশো জনেরও বেশি।
শুক্রবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঙ্কার দিয়েছিলেন, আপাতত বেশ কয়েকদিন ধরে ইরানে আক্রমণ করবে তাঁর সেনা। সেই মতোই রবিবার সকালে ফের ইরানের একাধিক এলাকা লক্ষ্য করে ইজরায়েলি সেনা হামলা চালিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, 'ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দপ্তর, পারমাণবিক প্রকল্পের হেডকোয়ার্টারে হামলা করা হয়েছে। পারমাণবিক ঘাঁটিকেও নিশানা করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক তৈলঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।' রবিবারের হামলার জেরে ইরানের একাধিক সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ইজরায়েলি সেনার দাবি।
পালটা হামলা চালিয়েছে ইরান। সেদেশের রেভোলিউশনারি গার্ডের দাবি, ইজরায়েলের শক্তি উৎপাদনকেন্দ্র এবং ফাইটার জেটের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র করে মিসাইল এবং ড্রোন ছোড়া হয়েছে। তার জেরে ইজরায়েলে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইয়েমেনে জঙ্গি গোষ্ঠী হাউথিরাও ইরানের সঙ্গে একজোট হয়ে ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রবিবার আমেরিকা-ইরান বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছে ইরান।
