সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় হত্যাযজ্ঞ জারি ইজরায়েলের। হামাস নিধনে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। শুক্রবার উত্তর গাজায় তেল আভিভের মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৪ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৫০ শিশুও। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই হামলাকে 'নৃশংস গণহত্যা' বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।
এক বছর অতিক্রান্ত। এখনও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামেনি গাজায়। প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের নাম মুছে ফেলার পণ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। লক্ষ্যে তিনি অনড়। এই সংঘাতে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যুদ্ধের বলি ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুরাও। সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা সূত্রে খবর, এদিন উত্তর গাজার অন্যতম বড় শরণার্থী শিবির নুসেইরাতের কাছে হানা দেয় ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। শুরু হয় বোমাবর্ষণ। এই হামলায় প্রাণ গিয়েছে এক মাসের শিশু ও তার মায়েরও। আহত বহু। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। গোটা এলাকাজুড়ে এখন শুধুই ধবংসের চিহ্ন আর স্বজনহারা কান্না। হামাসের লুকিয়ে থাকার অভিযোগ তুলে এর আগেও এই শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছিল ইজরায়েল।
উল্লেখ্য, অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, স্কুল, ধর্মীয়স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তাঁরা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। নেতানিয়াহুর দেশের অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। জখম ১ লক্ষের উপরে। এই এক বছরে কার্যত ভেঙে গিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালগুলোয় উপচে পড়ছে মৃতদেহ। দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল। এই সংঘাত থামানো নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশ। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
কয়েকমাস আগেই ইরানে খুন হয়েছিলেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। তার জায়গায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটির নতুন প্রধান হয়েছিল ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে হওয়া ভয়ানক হামলার মূলচক্রী কুখ্যাত এই জঙ্গি। কয়েকদিন আগেই গাজায় ইজরায়েলি সেনার বোমাবর্ষণে খতম হয়েছে সিনওয়ারও। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় আত্মগোপন করে ছিল সিনওয়ার। যদিও এখনও নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেনি হামাস।