সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আগেই পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় সাজা ঘোষণা হবে তাঁর। আগামী ১০ জানুয়ারি ঘুষ কাণ্ডে সাজা শোনাবে নিউ ইয়র্কের আদালত। তাহলে কি প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই জেলে যেতে পারেন ট্রাম্প?
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত বছরের মে মাসে প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপর রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। নির্বাচন জেতার পরই এই মামলার শাস্তি থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি পদে বসলেও রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই।
জানা গিয়েছে, গতকাল শুক্রবার আগের এই নির্দেশই বহাল রাখে নিউ ইয়র্কের আদালত। মামলা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সব যুক্তি খারিজ করে ১৮ পাতার নির্দেশনামায় বিচারক জুয়ান মার্চেন সাফ জানিয়ে দেন, এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আগামী ১০ জানুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। শুনানির জন্য তাঁকে সশরীরে কিংবা ভারচুয়ালি আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে আপাতত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কারাদণ্ড দেওয়া না হবে না বলেই খবর। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর তকমা মাথায় নিয়েই শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে ঢুকতে হবে ট্রাম্পকে। তাই বিচারকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা তুলে ধরেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। যেখানে প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে বিচারক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই মামলার ক্ষেত্রে যে প্রমাণগুলো পাওয়া গিয়েছে, তা ব্যক্তিগত স্তরে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া যাবে না। এদিন এই প্রসঙ্গ টেনে এনেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, "এটা রাজনৈতিক আক্রমণ ছাড়া কিছুই না।"
বলে রাখা ভালো, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি করেন স্টর্মি। অভিযোগ, বিষয়টা চেপে দিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাঁকে এক চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। এমনকী অনেক অর্থও দেওয়া হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে স্টর্মি যা অভিযোগ করেছেন, তা বার বারই খণ্ডন করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু অবশেষে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।