সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে খুন লস্কর-ই- তইবার (Lashkar-E-Taiba) প্রাক্তন কমান্ডার আক্রম গাজি। পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতে খুন হন তিনি। কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের নেপথ্যে গাজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। প্রসঙ্গত, গত মাসেই পাকিস্তানে নিকেশ হয় ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে থাকা লস্কর জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কায়সার ফারুক। তার এক মাসের মধ্যেই ফের লস্কর জঙ্গি খুন পাকিস্তানে। যদিও এই খবরকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
জানা গিয়েছে, পাক সীমান্ত সংলগ্ন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে গাজির মৃতদেহ। সূত্রের খবর, বাইকে চেপে এসে লস্কর কমান্ডারকে গুলি করে পালিয়ে যায় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লস্করের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ছিল গাজি। ভারতবিদ্বেষী মন্তব্য করে তরুণদের জঙ্গিগোষ্ঠীতে শামিল করত সে। তার পর প্রশিক্ষণ দিয়ে কাশ্মীর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাঠাত জঙ্গিদের। গত দুই বছরে একাধিক অনুপ্রবেশের নেপথ্যে ছিল এই গাজিই।
[আরও পড়ুন: ‘আড়াই মিনিটেই সিদ্ধান্ত!’, মহুয়া ইস্যুতে এথিক্স কমিটিকে তোপ দানিশ আলির]
ভারতের ওয়ান্টেড জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম ছিল আক্রম গাজি। যদিও তার খুনের খবরে সরকারি শিলমোহর পড়েনি। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও এই খবরকে বেশ লঘু করেই দেখাতে চাইছে। যদিও সূত্রের অনুমান, পাকিস্তানের জঙ্গিদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছে গাজি। দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া নিয়ে ঝামেলার কারণেও খুন হয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে ২৬/১১ মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) মূল চক্রী হাফিজ সইদের সহযোগী মুফতি কায়সর ফারুক খুন হয় পাকিস্তানের (Pakistan) করাচি শহরে। লস্কর জঙ্গির উপর গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে করাচি পুলিশ। এক মাসের মধ্যেই ফের নিকেশ লস্কর নেতা। এর ফলে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বড় ধাক্কা খাবে বলেই অনুমান।