সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরান (Quran) পোড়ানোর বিরুদ্ধে আইন আনতে চলেছে ডেনমার্ক (Denmark) সরকার। শুধু কোরান নয়, যেকোনও ধর্মগ্রন্থের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করলেই দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়িই সেদেশে এই আইনের খসড়া পেশ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কোরান পোড়ানো নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ডেনমার্কের প্রতিবেশী দেশ সুইডেন (Sweden)। তার প্রভাব পড়েছিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।
শুক্রবার ডেনমার্কের সরকারের তরফে জানানো হয়, কোরান-সহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে। যদি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কোরানের পাশাপাশি বাইবেল, টোরার মতো ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর বিরুদ্ধেই আইন পেশ করবে ডেনমার্কের সরকার। বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেকোনও ধর্মের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থকেই এই আইনের আওতায় আনা হবে।
[আরও পড়ুন: প্রিগোজিনের মৃত্যুর গুঞ্জন নিয়ে বাইডেনের খোঁচা! পালটা দিল রাশিয়া]
উল্লেখ্য, কোরান পোড়ানোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন আগেই উত্তাল হয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতি। জুন মাসে ইদের দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্টাগুলিকে মাড়িয়েও দেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচিকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সুইডেন প্রশাসনের ক্ষোভ উগরে দেয় বিভিন্ন দেশ।
অন্যদিকে, কোরান পোড়ানোর খবর পেয়ে ইরাকে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সুইডেনের সরকারও। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাকের প্রশাসন। অবিলম্বে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও বেশ কয়েকটি দেশও সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল।