সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী জাকিউর রহমান লাকভিকে (Zakiur Rehman Lakhvi ) গ্রেপ্তার করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের এক মামলার সূত্রে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডারকে লাহোর থেকে আটক করা হয় এদিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্ত্রাসের জন্য গঠিত এক তহবিলের অর্থে ডিসপেন্সরি চালানোর। প্রসঙ্গত, তাকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
ছ’বছর জেলে থাকার পরে গত ২০১৫ সালের এপ্রিলে মুক্তি পায় লকভি। তবে তার জেলে থাকা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর থেকেই নানা সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এবার ‘পাঞ্জাব কাউন্টার টেরর ডিপার্টমেন্ট’ অভিযোগ দায়ের করল তার বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছে করে করোনা ভ্যাকসিনের ৫০০ ডোজ নষ্ট! আমেরিকায় গ্রেপ্তার হাসপাতালের কর্মী]
২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনা করেছিল লকভিই। কয়েক দিন আগে লকভিকে মাসিক দেড় লক্ষ পাকিস্তানি টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ। তাকে অর্থ সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ কমিটির কাছে আরজি জানিয়েছিল পাক সরকার। তা মেনে নেয় ১২৬৭ স্যাংশান কমিটি। খাবার, ওষুধ, আইনজীবী, পরিবহণ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তাকে। ভারত এই সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করেছিল। পাকিস্তান লকভির ‘পকেট মানি’-র আবেদন করেছে বলে খোঁচাও দেয় নয়াদিল্লি।
এফএটিএফ-এর (FATF) ধূসর তালিকা থেকে এখনও বেরোতে পারেনি পাকিস্তান। ইমরান খানের দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দান ও অন্যান্য আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার। ওই সংস্থার তৈরি করে দেওয়া ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে ছ’টি এখনও মেনে চলতে পারেনি পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, এর মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চললেও যে ছ’টি তারা এখনও মেনে চলতে পারেনি সেগুলি সবই সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার বিষয়ে। আপাতত তাই সেদিকেই নজর দিয়েছে ইসলামাবাদ। লকভির গ্রেপ্তারিও সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।