সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার (America) গ্রিন কার্ড (Green Card) পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ১১ লক্ষ ভারতীয়। সেটুকু নাগরিকত্ব না পেলে দেশটিতে থাকাই সম্ভব হবে না আইনসম্মতভাবে। এখন যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে ইউএসএ-তে এক প্রবাসী ভারতীয় গ্রিন কার্ড অর্থাৎ সে দেশে স্থায়ীভাবে থাকার অধিকার পেতে আবেদন করলে তাঁকে সাধারণ ভাবে ১৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ইউএস গ্রিন কার্ডের আবেদনে ১৩৫ বছরের ব্যাকলগ। ফলে, ইউএসএ-তে বহু প্রবাসী ভারতীয়কে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এরই মধ্যে ২১ বছর বয়স হয়ে যাওয়া এক লক্ষাধিক ভারতীয় তাঁদের বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রিনকার্ড পেতে এমন দেরির কারণও রয়েছে। গ্রিন কার্ডের জন্য বরাদ্দ কোটা একমাত্র মার্কিন কংগ্রেসের পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে। আমেরিকায় সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সিনিয়র উপদেষ্টা ডগলাস রান্ড সম্প্রতি জানিয়েছেন, কংগ্রেস কর্তৃক পারিবারিক স্পনসরকৃত অগ্রাধিকার গ্রিন কার্ডের বার্ষিক সীমা বিশ্বের জন্য ২ লক্ষ ২৬ হাজার। যেখানে কর্মসংস্থান ভিত্তিক বার্ষিক সীমা ১ লক্ষ ৪০ হাজার।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল, বাইডেনের ভারত সফর নিয়ে সংশয়]
গত বছর গ্রিন কার্ডের ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছিলেন জো বাইডেন প্রশাসন। অভিবাসন স্বীকৃতি পেতে ৬ মাসের বেশি সময় যাতে না লাগে, তার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়। গ্রিন কার্ডের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাডভাইসরি কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সমস্যার সমাধানে এতটা ব্যাকলগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যাতে প্রবাসী ভারতীয়দের, বিশেষ করে অতি দক্ষ কর্মী হিসাবে ইউএসএ-তে কাজ করা ভারতীয়দের গ্রিন কার্ডের আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর প্রশাসনের কাছে আর্জি জানালেন ইউএস কংগ্রেসের ৫৬ জন সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, গ্রিন কার্ডের জন্য ওই প্রবাসী ভারতীয়দের আবেদনের তারিখগুলো ‘কারেন্ট’ বা বর্তমান সময়ের জন্য বিবেচনা করলে এ ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।