সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যা কিছু হারায় তা একেবারে হারায় না। ফিরেও আসে। আজ থেকে অন্তত ১ হাজার বছর আগে লুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন মায়া শহরের (Mayan city) সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। শহরটির মধ্যে রয়েছে পিরামিডের (Pyramid) মতো একাধিক স্থাপত্য। রয়েছে বিশাল বিশাল থাম। এমন এক আবিষ্কার ঘিরে প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
প্রত্নতাত্ত্বিকের দল আকাশপথে লেজারের সাহায্যে মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপ অঞ্চলের ঘন জঙ্গলে ম্যাপিং করার সময় তাঁদের চোখে পড়ে পিরামিড। এরপরই আবিষ্কৃত হয় এক মায়া শহরের ধ্বংসাবশেষ। এর আগে ড. ইভান স্প্রাইসের নেতৃত্বে ওই দলটি বহু প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছে। তাদেরই সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার এই মায়া শহরটি। শহরটির নাম দেওয়া হয়েছে ওকোমতুন। ধ্বংসাবশেষে থামের আধিক্যের জন্যই এই নামকরণ। ওই নামেই পাথরের থামকে চিনত মায়া সভ্যতার মানুষরা।
[আরও পড়ুন: ‘আর পাঁচজনের মতোই ওর দুটো পা, দুটো চোখ’, মেসিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিপক্ষ]
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা মায়া সভ্যতা। মধ্য আমেরিকা জুড়ে মোটামুটি ২৫০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সভ্যতাই ছড়িয়ে ছিল। বলা হয় এই সভ্যতার মানুষরা বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিল। গণিতেও দক্ষতা ছিল তাদের। পাশাপাশি চকোলেট ও রবারের ব্যবহার জানত তারা। যদিও নবম শতাব্দীতে বিলুপ্ত হয়ে যায় সেই সভ্যতা। তবে আজও প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মায়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ এক চরম আকর্ষণের বিষয়। নতুন মায়া শহরের সন্ধান পেয়ে তাই স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত তাঁরা।