অর্ণব আইচ ও দেবব্রত মণ্ডল: সোমবার ভাঙড়ে ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে 'গুন্ডামি' চলে। সেই কাণ্ডে সারারাত তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তিনজনকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে বাকি ছ'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবারের গণ্ডগোলের পর মঙ্গলবার থমথমে গোটা এলাকা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া পুলিশ ভ্যান, বাইক। তা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে দাবি পুলিশের। রয়েছে পুলিশি নজরদারি।
সোমবার শিয়ালদহের রামলীলা ময়দানে আইএসএফের তরফে ওয়াকফ বিরোধী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আইএসএফের কর্মী, সমর্থকরা। নওশাদ সিদ্দিকির ডাকে সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় মিছিল আটকানোকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় বাসন্তী হাইওয়ে। আইএসএফ কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। জনতা পালটা 'আক্রমণ' করলে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে এক আইএসএফ কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। এরপরই বাসন্তী হাইওয়েতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আইএসএফ কর্মীরা। বিক্ষোভে আচমকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের শোনপুর।
অভিযোগ, জাতীয় পতাকা হাতে উন্মত্ত জনতা প্রথমে এলাকার সিসিটিভি ভাঙে। তারপর হামলা হয় পুলিশের উপর। পাঁচ উর্দিধারী জখম হন বলে খবর। প্রিজন ভ্যান উলটে দেওয়ার পাশাপাশি ৫টি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই অ্যাকশনে মোডে দেখা যায় পুলিশকে। সেই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। এদিকে বারংবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীর্ষ নেতা মন্ত্রীরা শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি হিংসা ছড়ানো হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না সেই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।