shono
Advertisement

শিক্ষকের মাথা কেটে স্কুলেই দেহ ফেলে রাখল মায়ানমারের সেনা!

সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে উঠছে গণহত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ।
Posted: 09:19 AM Oct 22, 2022Updated: 09:19 AM Oct 22, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে তুঙ্গে গৃহযুদ্ধ। বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রবল লড়াই চলছে সরকারি বাহিনীর। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে উঠছে গণহত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের ‘শিক্ষা দিতে’ একজন শিক্ষকের মাথা কেটে স্কুলেই ফেলে রাখে বার্মিজ সেনা।

Advertisement

স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মায়ানমারের (Myanmar) মাগওয়ে প্রদেশের টাউং মিন্ট গ্রামের একটি স্কুলে হানা দেয় সরকারি বাহিনী। জেরার পর সও তুন মোয়ে নামের একজন শিক্ষককে আটক করে তারা। কিছুক্ষণ পর ৪৬ বছরের অই শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করে বার্মিজ সেনার জওয়ানরা। তারপর স্কুলগেটে লোহার রডে তাঁর মাথাটি গেঁথে দেহটি স্কুলেই ফেলে রাখে তারা। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে স্কুলটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় সেনা বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

[আরও পড়ুন: FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে বাদ পাকিস্তান, আমেরিকার হাত ধরেই কি ‘শাপমুক্তি’?]

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই দেশটিতে চলছে তুমুল যুদ্ধ। টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার দাবি, দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনগুলি। পালটা, বিদ্রোহীদের দাবি সাধরওন নাগরিককে নিশানা করছে সরকারি বাহিনী। এই লড়াইয়ের ফলে সংঘাতের কেন্দ্রে থাকা এলাকাগুলিতে প্রায় এক বছর থেকে বন্ধ স্কুল-কলেজ। হাসপাতালগুলিও ধুঁকছে। বিশ্লেষকদের মতে, আমজনতার একটি বড় অংশ বিদ্রোহীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাই সন্ত্রাস ছড়িয়ে সাধারণ মানুষজনদের উপর লাগাম টানতে চাইছে জুন্টা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে প্রচণ্ড গুলিবৃষ্টি করে সেনার হেলিকপ্টার। ওই হামলায় প্রাণ হারায় ছয় শিশু। আহত হয় অন্তত ১৭ জন। তবে এক বিবৃতিতে সরকারি বাহিনী দাবি করে, একটি বৌদ্ধমঠে অবস্থিত স্কুলটিতে ঘাঁটি গেড়েছিল সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি‘ (KIA)। রয়েছে ‘পিপল’স ডিফেন্স গ্রুপ’ সংগঠনের ‘সন্ত্রাসবাদীরা’। তাদের হঠিয়ে দিতেই হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনী আরও দাবি করে, তল্লাশি অভিযানের সময় জওয়ানদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জবাবে সেনা জওয়ানরা গুলি ছোঁড়ে। সেই হামলায় কয়েকজন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়।

[আরও পড়ুন: রক্তে লাল নীল নদ, সুদানে জাতিগত সংঘর্ষে নিহত অন্তত ১৭০]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement