সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রকামীদের রক্তে ভিজছে মায়ানমারের (Mayanmar) মাটি। এবার এক সেনা জওয়ানকে হত্যার অভিযোগে ১৯ জনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করল জুন্টা।শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করে বাহিনী।
পয়লা ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম এধরনের পরোয়ানা জারি করা হল। গত ২৭ মার্চ উত্তর ওকালাপ্পা জেলার ইয়াঙ্গনে মার্শাল আইন জারি করা হয়।এই আইনে সেনাবাহিনী যে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে পারে। সেই আইনকে ব্যবহার করে ১৯ জনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে হাজার-হাজার মায়ানমারবাসী। আর তাদের দমন করতে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে জুন্টা। তবে এবার পালটা প্রত্যাঘাত শুরু করেছে গণতন্ত্রকামীরা। আর সেই প্রত্যাগাতের শাস্তি দিতে একযোগে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করল মায়ানমারের সেনা।
[আরও পড়ুন : করোনা রুখতে ব্যর্থ ব্রাজিল, তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টকেই একহাত বলসোনারোর]
ইতিমধ্যে শুক্রবার ইয়াঙ্গনে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বিচারে তাদের উপর গুলি চালিয়েছে জুন্টা। তবু আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও সেনার দাবি, মায়ানমাবাসী শান্তি চাইছে। তাই এই আন্দোলনের বহর ক্রমশ কমছে। এ প্রসঙ্গে জুন্টার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন টুন বলেন, “মানুষ শান্তি চাইছে। তাই আন্দোলনের বহর কমছে। মায়ানমারবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি। আপনারা নিরাপত্তাবাহিনীকে সাহায্য করুন।” সেনার প্রতিশ্রুতি, আগামী ২ বছরের মধ্যে মায়ানমারে ফের নির্বাচন হবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সেনার গুলিতে একদিনে ১১৪ জনের মৃত্যুর পর থেকে মায়ানমারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সেই সময় থেকেই গৃহযুদ্ধের আবহ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেখানে। মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে। মায়ানমারের সংসদের নির্বাসিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি সেনা-বিরোধী গোষ্ঠীও এই গেরিলা বাহিনীগুলির সাহায্য নিতে প্রস্তুত। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেরিলা জনজাতিদের গ্রামে আকাশপথে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে জুন্টাকে।