সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটা যুদ্ধ করার সময় নয়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এসসিও সম্মেলনের মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। সেখানে ভারতের নিরপেক্ষ বিদেশনীতির প্রশংসাও করেন পুতিন। যুদ্ধের বিরোধিতা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে ভারতের প্রস্তাবও বেশ গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছেন পুতিন (Vladimir Putin)। সেই সঙ্গে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
আগে থেকেই ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারত এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি ও পুতিন। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। বৈঠকে মোদি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এটা যুদ্ধ করার সময় নয়। মোদি বলেন, “যুদ্ধ করার জন্য এই সময়টা একেবারেই আদর্শ নয়। আমি ফোনেও আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম।”
[আরও পড়ুন: রানি এলিজাবেথের কফিনের কাছে যেতে দেওয়া হবে না চিনা প্রতিনিধিদের!]
উত্তরে পুতিন বলেন, “ইউক্রেন প্রসঙ্গে আপনাদের চিন্তার কারণ রয়েছে তা বুঝতে পারছি। আমরাও চাই খুব তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ শেষ হোক।” ২০২৩ সালের এসসিও বৈঠকের (SCO Summit) সভাপতিত্ব করবে ভারত। সেইজন্যও ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। সাম্প্রতিককালে ইউক্রেনীয় সেনার হাতে নাস্তানাবুদ হচ্ছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার অধিকৃত বেশ কিছু জায়গা ফের পুনর্দখল করেছে ইউক্রেনীয় সেনা। লাগাতার ব্যর্থতার ফলে নিজের দেশেও বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন পুতিন। শুক্রবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে তাঁর এই কথার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, অবশেষে কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি পড়তে চলেছে?
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছিলেন মোদি-পুতিন। প্রকাশ্যেও বারবার যুদ্ধের পরিবর্তে কূটনৈতিক ভাবে আলোচনা করে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত। আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের চাপের মুখে পড়েও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। রাষ্ট্রসংঘেও ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। পরিবর্তে কম দামে রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মহলের নজর ছিল শুক্রবারের বৈঠকের দিকে। ভারত-রাশিয়া সখ্যকে কীভাবে দেখবে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি, সেই আলোচনায় মশগুল বিশেষজ্ঞ মহল।