সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসনদে বসেই ইমরান খান (Imran Khan) মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নেওয়া শুরু করে দিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ইমরান মন্ত্রিসভার সদস্যদের ‘নো ফ্লাই লিস্টে’ পাঠিয়ে দিলেন শাহবাজ। যার ফলে ইমরান খানের মন্ত্রিসভার সদস্যরা এখন চাইলেও আর পাকিস্তান ছাড়তে পারবেন না।
নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইমরান খান এবং তাঁর দলের নেতারা আদ্যোপান্ত দুর্নীতিতে যুক্ত। সুযোগ পেলেই দুর্নীতির টাকা নিয়ে বিদেশে পালাতে পারে তাঁরা। তাই অনুমতি ছাড়া তাঁদের দেশ ছাড়তে দেওয়া যাবে না। এছাড়াও মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহবাজ (Shahbaz Sharif)। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম তিনি ‘এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট’ (ECL) থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের আর দেশে ঢোকা বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করা হবে না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ নিজের দাদা নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) নামও এই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন তিনি। যার ফলে নওয়াজের দেশে ফেরাতে আর কোনও বাধা রইল না।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন মোড়, ইদের পরই দেশে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ]
সূত্রের দাবি, ইদের পরই পাকিস্তানে ফিরতে পারেন নওয়াজ। তবে, দেশে ফিরলেও দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে শুনানি হবে বলে খবর। আসলে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে না বসতেই দাদা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দেশে ফেরাতে সক্রিয় হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) (PML N) প্রধানের কূটনৈতিক ভিসার ব্যবস্থা করতে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ভিসা ইস্যু করার ব্যাপারে তাঁকে ব্রিফও করেছেন কূটনৈতিক শাখার অফিসাররা।
[আরও পড়ুন: রমজানের প্রার্থনার মাঝেই আফগানিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৫, আহত বহু]
এদিকে ইমরান খান এখনও পাকিস্তানের গদি হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না। বুধবারও নিজের গদি হারানোর জন্য পরোক্ষে সেনাকে দায়ী করেছেন তিনি। নাম না করে সেনাপ্রধান বাজওয়াকে টার্গেট করে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ক্ষমতাবান কিছু ব্যক্তির ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই এ ভাবে গদি থেকে সরে যেতে হল তাঁকে।” বাজওয়ার পাশাপাশি বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।