সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালের ঘটনা। হিজাব নিয়ম লঙ্ঘন করায় নীতি পুলিশের অত্যাচারে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছিল। শিয়া প্রধান রাষ্ট্র সেই ইরানে এবার ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজকদের গ্রেপ্তার করা হল। হিজাব না-পরা মহিলারদের ম্যারাথনে অংশ নিতে দেওয়ার অপরাধে শাসকের রোষে আয়োজকরা।
বিবিসি সূত্রে খবর, ইরানের দক্ষিণ উপকূলের কিশ দ্বীপে একটি ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ২০০০ মহিলা এবং ৩০০০ হাজার পুরুষ আলাদা আলাদা ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। এরপরেও ইরানের বিচার বিভাগের চক্ষুশূল হন আয়োজকরা। যেহেতু দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব না পরেও মহিলারা অংশ নেন। বিবিসির খবর অনুযায়ী, হিজাব পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার নিয়ম ছিল। সেখানে ম্যারাথনের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায়, হিজাব নেই তো বটেই, এমনকী মাথায় কোনও আবরণ ছিল না মহিলাদের।
বলা বাহুল্য এই কাণ্ড ইরানের কঠোর পোশাকবিধির বিরোধী! সে দেশের আইন অনুযায়ী, মহিলাদের সর্বত্র হিজাব পরে থাকতে হয়। না-মানলে কড়া শাস্তির নিদানও রয়েছে। এই পোশাকবিধির আওতায় সে দেশের বিচারবিভাগের নির্দেশে ম্যারাথনের দুই আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে গলা তুলেছেন উদারপন্থীরা। তারা আয়োজকদের সমর্থন করে হিজাব না-পরা মহিলাদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। উলটো দিকে কট্টরপন্থীরা 'শালীনতা লঙ্ঘনে'র অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর গোটা ইরানে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এমনকী বিশ্বের বিভন্ন প্রান্তের মহিলারা ওই প্রতিবাদকে সমর্থন করেন। এরপর গত বছর পোশাক-ফতোয়ার প্রতিবাদে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আহু দারইয়াই প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হেঁটেছিলেন। তাঁকেও গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ।
