সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হইহই করে রাজ্যাভিষেক চলেছে তৃতীয় চার্লসের ((King Charles)। যদিও সেই রাজকীয় অনুষ্ঠানে নেই তাঁর পুত্রবধূ ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল (Meghan Markle)। এমনকী রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়নি রাজকুমার হ্যারিকে (Prince Harry)। তিনি ছিলেন পিছনের সারিতে, কতকটা আড়ালে। সব মিলিয়ে প্রকট ব্রিটিশ রাজপরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব। এর মধ্যেই নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে অস্বস্তিতে ফেলে ‘জনতার রানি’ মেগানের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদে সরব রাজতন্ত্র বিরোধীরা।
চার্লসের নাতি অর্থাৎ মেগানের দুই সন্তান প্রিন্স আর্চি ও প্রিন্সেস লিলিবেটকেও রাজ্যাভিষেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যদিও রাজপরিবারের বিবৃতি, রাজ্যাভিষেকের দিনটি আর্চির চতুর্থ জন্মদিনে পড়েছে। সেই কারণে সে অনুপস্থিতি। আরও বলা হয়েছে, সন্তানদের দেখভালের জন্যই ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছেন মেগান। এর মধ্যেই রাজতন্ত্র বিরোধীরা প্রতিবাদে নামে। তাঁদের হাতে ছিল মেগানের পক্ষে পোস্টার। যেখানে তাঁকে ‘জনতার রানি’ বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে চার্লসের বিরোধিতায় স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
[আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাত! মাঝ আকাশে অত্যাধুনিক রুশ মিসাইল গুঁড়িয়ে দিল ইউক্রেন]
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে মেগানও ছিলেন। সে সময় কালো পোশাক পরা মেগানকে দস্তানা হাতে চোখ মুছতেও দেখা গিয়েছিল। শেষকৃত্য চলাকালে উইলিয়াম, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রথম সারিতে বসেছিলেন। দ্বিতীয় সারিতে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বসেছিলেন মেগান।২০২০ সালের শুরুতে হঠাৎই রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন হ্যারি-মেগান। এরপর তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে থিতু হন। ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরিবারে অভ্যন্তরের বহু বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলে সমালোচিত হন হ্যারি-মেগান। সম্পর্কের ‘তিক্ততা’ বেশি করে সামনে আসে গত জানুয়ারিতে প্রিন্স হ্যারির লেখা স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ প্রকাশ হতে। এদিকে মেগানকে ‘জনতার রানি’ সম্বোধনে অনেকেরই মনে পড়েছে ‘বিদ্রোহী’ রানি ডায়ানার কথা।