সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু মার্কিন মুলুকে নয়, একসময়ে তাঁর ‘ইয়েস, উই ক্যান’ স্লোগানে মজেছিল গোটা বিশ্ব। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নজির গড়েছিলেন তিনি। পরপর দু’দফায় আট বছর মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পদে ছিলেন বারাক ওবামা। তবে এখন অবশ্য তিনি ‘প্রাক্তন’। কিন্তু, তাতে কী! পূর্বসূরীদের মতো নিজেকে গুটিয়ে নেননি আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। বরং উলটো পথেই হেঁটেছেন। বিশ্বের যে কোনও বড় ঘটনা বা বিতর্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানাতে দ্বিধা করেন না বারাক ওবামা। সম্প্রতি আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় শ্বেতাঙ্গদের প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে হিংসার ঘটনা নিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা সেই টুইটটি টুইটারের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় টুইট বলে ঘোষণা করেছে ফ্যাভস্টার নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থাটি মূলত টুইটারের কার্যবলী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্র্হ করে।
[কাদাধসে মৃত ৩০০ জন, আফ্রিকা জুড়ে মৃত্যুমিছিল]
সম্প্রতি শ্বেতাঙ্গদের একটি প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ায়। শ্বেতাঙ্গের মিছিলের প্রতিবাদে পালটা শান্তি মিছিল করে বিরোধীরা। অভিযোগ, সেই মিছিলে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৩২ বছরের এক মহিলার। আহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনার পরই পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাকে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, ‘ধর্ম বা গায়ের রঙের জন্য একজনকে ঘৃণা করার মানসিকতা নিয়ে কেউ জন্মায় না। মানুষকে ঘৃণা করাটা শিখতে হয়। আর কেউ যদি মানুষকে ঘৃণা করতে শিখে যান, তাহলে তাঁকে ভালবাসতেও শেখানো যায়। কারণ ভালবাসাই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।’ এই টুইটটি নেটিজেনদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এখনও পর্যন্ত বারাক ওবামার টুইটটি দশ লক্ষেরও বেশিবার রিটুইট করা হয়েছে। টুইটটি ‘লাইক’ করেছেন ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
টুইটারের কার্যাবলী নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করে থাকে ‘ফ্যাভস্টার’ নামে একটি সংস্থা। বারাক ওবামার টুইটটিকে টুইটারের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় টুইটের তকমা দিয়েছে সংস্থাটি। ফ্যাভস্টারের মতে, ম্যাঞ্চেস্টারে কনসার্টে জঙ্গি হানার পর টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মার্কিন পপ তারকা এরিয়ানা গ্রান্দে। রিটুইট ও লাইকের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সেটি টুইটারের ইতিহাস জনপ্রিয়তম টুইট। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার টুইটটি।
[চার বছরের জন্য থেমে যাচ্ছে বিগ বেনের ঘন্টা!]
প্রসঙ্গত, ভার্জিনিয়া শান্তি মিছিলে হিংসার ঘটনায় বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তিনি জাতপাত নিয়ে হিংসার ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ঠিকই। কিন্তু শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি ট্রাম্প। ডোমোক্র্যাটরা তো বটেই, বিরোধীদের শান্তি মিছিলে গাড়ি নিয়ে ঢোকা পড়া ও গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুর পর শ্বেতাঙ্গদের নিয়ে প্রেসিডেন্টের এই নীবরতার সমালোচনা করেছেন অনেক রিপাবলিক সেনেটরও।
[চ্যালেঞ্জ নিয়ে একেবারে ১০০ লঙ্কা খেয়ে কী হাল হল যুবকের?]
The post জানেন, টুইটারের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় টুইটটি কে করেছেন? appeared first on Sangbad Pratidin.