সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের লাভ জেহাদের শিকার হল ১৩ বছরের এক খ্রিস্টান কিশোরী। তাকে অপহরণের পর জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল ৪৫ বছরের এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের তাকে উদ্ধার করে সিন্ধু হাই কোর্টে তোলা হয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ওই কিশোরীকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের ওই কিশোরী বাবা-মা, ভাই ও অন্য দুই বোনের সঙ্গে করাচি (Karachi)’র রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করত। গত ১৩ অক্টোবর তার বাবা ও মা অফিসে গিয়েছিলেন আর ভাই গিয়েছিল স্কুলে। বাকি দুই বোনের সঙ্গে বাড়িতেই ছিল ওই কিশোরী। কিন্তু, পরে তার বাবা ও মাকে এক আত্মীয় ফোন করে জানান তাঁদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ফিরে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু, মেয়েটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। শেষ বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। পরে সিন্ধু হাই কোর্টে (Sindh High Court) -ও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা নির্বাচন জিতেছি’, সমর্থকদের কাছে আগাম জয় ঘোষণা করে মামলার হুমকি ট্রাম্পের]
তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মেয়েটিকে ধর্মান্তকরণের পর বিয়ে করেছে তাদের বাড়ির উলটোদিকে থাকা আলি আজহার নামে ৪৫ বছরের এক মুসলিম ব্যক্তি। এরপরই মেয়েটিকে উদ্ধার করে আদালতের সামনে হাজির করে প্রশাসন। সেখানে উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মেয়েটিকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এপ্রসঙ্গে ১৩ বছরের ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই আলি আজহার মেয়েকে বিরক্ত করত। গত ১৩ অক্টোবর তাঁরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করানোর পর বিয়ে করে অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীকে সাবালিকা প্রমাণ করার জন্য তার জন্মের ভুয়ো কাগজপত্রও তৈরি করিয়ে প্রশাসনকে দেখায়।