সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভারতের নেতৃত্বে ৪ জুলাই হতে চলা বৈঠকে ভারচুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।
শুক্রবার পাক বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তানের কাছে এসসিও-র গুরুত্ব প্রচুর। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা, উন্নয়ন ও সহযোগিতাপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে এই জোটের ভূমিকা রয়েছে। তাই ৪ জুলাই হতে চলা এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের তেইশতম বৈঠকে ভারচুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এবছর ভারতের নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে এসসিও। সেখানে অংশ নিতে শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২০০১ সালে শাংহাইতে এসসিও গঠন হয়। সদস্য- রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান ও কিরঘিজস্তান। ২০১৭ সালে জোটে যোগ দেয় ভারত ও পাকিস্তান। গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য সমরকন্দ সামিটে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদে বসে ভারত।
[আরও পড়ুন: মোদিকে ‘বন্ধুত্বের উপহার’, ২৭ শতাংশ কম দামে ভারতকে সামরিক ড্রোন দেবে আমেরিকা!]
উল্লেখ্য, গত মে মাসে গোয়ায় শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) গোষ্ঠীর বৈঠকে অংশ নেন পাকিস্তান, চিন-সহ অন্যান্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। দীর্ঘদিন পরে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কোনও পাক বিদেশমন্ত্রী। দু’দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক সারেন জয়শংকর। তবে পাক প্রতিনিধি বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনায় বসেননি তিনি।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে একাধিক যুদ্ধ। ভারতের বিরুদ্ধে আইএসআইয়ের লাগাতার ছায়াযুদ্ধ। মুম্বইয়ে জেহাদি হামলা ও পুলওয়ামার মতো ক্ষত। সবমিলিয়ে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যে কোথায় দাঁড়িয়ে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে এসসিও-তে শরিফ কী বার্তা দেবেন সেদিকে মজর থাকবে সবার। একই সঙ্গে সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাস রপ্তানি নিয়ে ভারত কী বিবৃতি দেবে সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে।