সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রার অভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের বিখ্যাত করাচি বন্দর (Karachi Port) অন্য দেশের হাতে তুলে দিচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। সোমবার ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। মূলত দেশের আয় বাড়াতেই এই বন্দরটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে (UAE) ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। তার ফলে আর্থিক লাভ হবে বলেই আশাবাদী পাক প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) আবেদন অগ্রাহ্য করে ঋণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আইএমএফ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষে ফের নতুন করে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এর জন্য অনেক শর্ত চাপিয়েছিল আইএমএফ। যা কম করার আবেদন করেছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু তা খারিজ করে ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে আইএমএফ।
[আরও পড়ুন: কেষ্টপুরে জোড়া দেহ উদ্ধারে গ্রেপ্তার ৫, পাওনা টাকার জন্য চাপ দিতেই অপমানে আত্মহত্যা?]
নতুন করে ঋণের আবেদন করে তার অনুমতি পেতেও দীর্ঘ সময় লাগবে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারি আয় বাড়ানোর রাস্তা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক প্রশাসন। সূত্রের খবর, নিজেদের বন্দর এবার ভাড়া দিতে চাইছে পাকিস্তান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একটি সংস্থাকে এই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। পাক ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। যদিও সরকারি কাগজপত্র এখনও তৈরি হয়নি।
বাণিজ্যে সুবিধার কারণে গত বছরেই করাচি বন্দরটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই বন্দর ভাড়া দিয়ে কতখানি উপার্জন করতে পারবে পাকিস্তান, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই করাচি বন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আরব আমিরশাহী সরকারের প্রতিনিধিরা। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খুব সতর্ক হয়ে এই চুক্তি করতে হবে পাকিস্তানকে। কারণ এর আগে আরব সরকারের সঙ্গে এহেন চুক্তি হয়নি সেদেশের। তবে দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া পাক সরকারের কাছে আর কোনও রাস্তাও খোলা নেই বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।