সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়তে থাকা ভারত-বিদ্বেষের আবহে পরিবর্তনের বাংলাদেশে প্রভাব বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে তাঁরা মিলিত হন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে ছবিটা। সেখানে জানানো হয়েছে, বৈঠকে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে সম্মত হয়েছেন দুজনই। ব্যবসাবাণিজ্য থেকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরস্পরের হাত আরও শক্ত করার কথা বলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি চিনি শিল্প ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় এখন ভারত বিরোধিতার প্রতিযোগিতা চলছে। এই আবহে শোনা যাচ্ছে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারিও। সম্প্রতি পড়শি দেশের কট্টরপন্থী নেতাদের দেখা গিয়েছে বারবার এমনই নানা সব কথা বলে সরব হতে। আবার, যাদের সহায়তায় স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই ভারতীয় সেনার নাম বাদ দিয়েই বিজয় দিবসের ভাষণ দিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে ঢাকার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে পণ্যবাহী জাহাজ। আগামী শুক্রবার ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’নামে জাহাজটির পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহে চিন্তিত ভারত।
হাসিনা গদি হারানোর পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে জামাত, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলো। তাদের বাড়বাড়ন্তে বিপন্ন হিন্দুরা। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার জামাত-হেফাজতে। চুপ নেই বিএনপিও। যে হারে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে তাতে বহু হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। ভারতীয় হিন্দু জানলে সেই অত্যাচারের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, জামাতের মতো দলের কাছে হাত-পা বাঁধা ইউনুস সরকারের। এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান।