সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবার এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের অবসান হয় ডুরান্ড লাইনে। শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয় পাকিস্তান এবং আফগানিস্থান। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের বিবৃতিতে বলা হয় পরবর্তী আলোচনার জন্য তৈরি দুই দেশ। শনিবার তুরস্কে ফের আলোচনার টেবিলে বিবাদমান দুই পড়শি। তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছেন দুই দেশের নেতারাই।
জানা গিয়েছে, সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে এবং আফগান মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে দুই দেশের নেতারা ফের আলোচনায় বসছেন। শনিবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনা হতে চলেছে। অক্টোবরের ১৯ তারিখ কাতারের রাজধানি দোহায় শান্তি বৈঠকে যোগ দেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। সেখানে রাত পর্যন্ত বৈঠক চলে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিল কাতার এবং তুরস্ক। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ২৫ অক্টোবর ফের আলোচনায় বসবে দুই দেশ।
সেই হিসেবে শুক্রবারই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তাহির আন্দ্রাবি জানিয়ে দেন নির্ধারিত দিনেই হবে আলচনা। তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করতে এবং পাকিস্তানিদের প্রাণহানি থামাতে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করা হবে এই বৈঠকে।' তিনি নিশ্চিত করে দেন, দায়িত্ববান দেশ হিসেবে এই এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
আফগান অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদও ইস্তানবুলে দুই দেশের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপমন্ত্রী মৌলবি রহমতুল্লাহ নাজিব। তিনি জানিয়েছেন, বাকি থাকা বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
এই সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ, সাম্প্রতিক অতীতে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সবথেকে মারাত্মক সংকট। ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটারব্যাপী সীমান্তে সমস্যা সমাধানের জন্য কাতারে একত্রিত হয় দুই পক্ষ। আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের এই সংঘাতে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন পাক মন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, "আফগানিস্তানের সরকার ভারতের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কাবুলের শাসক আজ ভারতের কোলে গিয়ে বসেছে। যদিও একটা সময় ওরা আমাদের নিরাপত্তায় ছিল।"
