সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে বেআইনিভাবে একটি সংস্থাকে সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর জেরে ক্ষমতা হারালেন পেরু (Peru)’র প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে রায় দেন পেরুর জাতীয় সংসদের বেশিরভাগ সদস্য।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে পেরুর প্রেসিডেন্টের নামে একটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, দেশটির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মোকুগুয়া প্রদেশের গর্ভনর থাকাকালীন মার্টিন ভিজকারা (Martín Vizcarra) ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে একটি সংস্থাকে সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই নিজের প্রতি ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন মার্টিন। উলটে তাঁকে অপদস্ত করার জন্য এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। যদিও তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং আরও বাড়তে থাকে।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন ট্রাম্প, এখনই বিডেনকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ চিন ও রাশিয়া]
গত সেপ্টেম্বর মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু, সেসময় সংসদে ইমপিচমেন্ট (impeachment) -এর প্রক্রিয়া শুরু হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোট পাওয়া যায়নি। তার ফলে ওই মার্টিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়াটি সাময়িকভাবে থমকে যায়। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি যখন খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মার্টিন ভিজকারাও। এই ধরনের কাজকর্মের ফলে দেশের ক্ষতি হবে বলেও সতর্ক করেছিলেন।
কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। সোমবার পেরুর ১৩০ জন সাংসদের মধ্যে ১০৫ জনই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর ফলে মার্টিন ভিজক্কারার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্টিনও। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, সংসদের রায় মেনে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। কোনওরকম আইনি লড়াইও করবেন না।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি খারিজ করবেন না, বিডেনকে অনুরোধ তালিবানের]