সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine-Russia War) পর প্রথমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (CM Narendra Modi)। জাপানে জি-৭ সম্মেলনে (G7 summit in Japan) দেখা হল উভয়ের। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। শনিবার জি-৭ সম্মেলনে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গেও সাক্ষাৎ হল মোদির। দেখা মাত্র বাইডেন-মোদি আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। যা বিশ্বমঞ্চে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে, মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মোদি-জেলেনস্কির মুখোমুখি সাক্ষাৎ না হলেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত মাসে ইউক্রেনের সহকারি বিদেশমন্ত্রী এমিন জাপারোভা ভারত সফরে এসেছিলেন। পূর্ব ইউরোপীয় দেশটিতে পুতিন বাহিনীর হামলার পর এটিই ছিল কোনও ইউক্রেনীয় মন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর। সেই সময় এমিন মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি তুলে দেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির হাতে। যা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লেখা রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির চিঠি।
[আরও পড়ুন: ‘একনায়ক হতেই পারতেন, কিন্তু নেহরু মহানুভব ছিলেন’, মন্তব্য বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক বিক্রম শেঠের]
বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির বৈঠক বিশ্বমঞ্চে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, আমেরিকা ও পশ্চিমের চাপের কাছে কি নতিস্বীকার করতে চলেছে ভারত? সামরিক, কৌশলগত ও কূটনৈতিক ভিতের উপর রাশিয়ার সঙ্গে তৈরি কয়েক দশকের সম্পর্ক কি অন্যখাতে বইবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বলছেন, আসলে মস্কোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে দিল্লির। ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ থামাতে মোদির উদ্যোগে পুতিনের সমর্থন রয়েছে। কারণ, রাশিয়াকে (Russia) একঘরে করে কখনওই চিনের কোলে ঠেলে দেবে না নয়াদিল্লি।