সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসাবে পোপ লিও চতুর্দশকে বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কার্ডিনালরা। ভ্যাটিকানের ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মার্কিন নাগরিক পোপের পদে অধিষ্ঠিত হলেন। বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ব্যালকনিতে এসে পোপ লিও চতুর্দশ হাত নাড়তেই তঁার বিষয়ে জানতে উদগ্রীব হয়ে ওঠে বিশ্ববাসী।
এরপরই আবিষ্কৃত হয়, শিকাগোয় জন্ম নেওয়া ৬৯ বছর বয়সি এই নতুন পোপ ইন্টারনেট ও এক্স হ্যান্ডলের মতো সোশাল মিডিয়ায় ভীষণই সক্রিয়। তাঁর এক্স হ্যান্ডল থেকেই স্পষ্ট হয়, তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও যথেষ্ট মতপ্রকাশ করেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই তিনি মার্কিন বিদেশ সচিব জে ডি ভান্সের সমালোচনামূলক একটি প্রবন্ধ পুনরায় পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডলে। গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এল সালভাদোরকে জেলে বন্দিদের উপর অত্যাচার করে চ্যালেঞ্জ করে তিনি লেখেন, “আপনারা এই সব দেখে কষ্ট পান না? কী করে আপনারা চুপ করে থাকতে পারেন?”
এছাড়াও বর্ণবিদ্বেষ, ঘৃণাবার্তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের স্নেহের পাত্রও ছিলেন নতুন পোপ। পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভস্ট। পোপ ফ্রান্সিসের মতোই নয়া পোপ টেক-স্যাভি কি না জানার জন্য নেটিজেনদের অনেকেই তাঁকে সোশাল মিডিয়ায় খুঁজে দেখেন। তখনই জানা যায়, এক্স হ্যান্ডলে @drprevost নামে উপস্থিত আছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তঁার ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। চার্চের জীবনে প্রবেশ করার আগে পেনসিলভেনিয়ার ভিলানোভা ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। খেলতেন টেনিস।
