সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (DonaldTrump)। তবে গদি ছাড়তে নারাজ তিনি। মার্কিন ইতিহাসে এহেন বেনজির টানাপোড়েনে রীতিমতো ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছেন ট্রাম্প। এবার নিজের দলের অন্দরেও কিছুটা ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি, মার্কিন কংগ্রেসের একাংশ রিপাবলিকান সদস্য ‘ক্লাসিফায়েড ইনটেলিজেন্স ব্রিফিং’ বা গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বিডেনের হাতে তুলে দেওয়র সপক্ষে মত দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের আগেই ভারতকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম দিতে সচেষ্ট রাশিয়া]
বিবিসি সূত্রে খবর, বিডেনের (Joe Biden) সপক্ষে সওয়াল করেছেন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তাঁর বক্তব্য, গোপন এই মেমো নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বিডেনের পাওয়া উচিত। তবে কংগ্রেসের বেশির ভাগ রিপাবলিকান সদস্য ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা এখনও বিডেনের বিজয় মেনে নিতে নারাজ। মার্কিন নিয়ম মতে, নির্বাচন হারলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকছেন ট্রাম্প। যদিও ভোটে পরাজিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ক্ষমতা এখন সীমিত। কিন্তু সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই বিডেনের হাতে ইনটেলিজেন্স ব্রিফিং যেতে দিচ্ছেন না ট্রাম্পের অধিকারিকরা। বিগত ৩ নভেম্বর আমেরিকায় ভোটদান শেষ হলে চরম নাটকীয়তার মধ্যে বিপুল জনমত পেয়ে জয়ী হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। তারপরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ১০ থেকে ২০ জন রিপাবলিকান সদস্য হয় বিডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নয়তো পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনস সিএনএনকে জানান, কয়েকজন রিপাবলিকান ফোনে তাঁদের পক্ষ থেকে বিডেনকে অভিনন্দন জানাতে বলেছেন। কারণ তাঁরা প্রকাশ্যে অভিনন্দন জানাতে পারছেন না।
এদিকে, নির্বাচনের পর থেকে গদি বাঁচাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। এহেন সময়ে বিডেন ব্যস্ত নিজের কাজ গুছিয়ে নিতে। হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে ঘনিষ্ঠ মিত্র রন ক্লেইনকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ১৯৮০ সাল থেকে ক্লেইন সিনেটে বিডেনের শীর্ষ আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফের কাজ প্রেসিডেন্টের দৈনন্দিন কাজের তালিকার সমন্বয় করা। বিশ্বনেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে কথা বলেছেন। পোপ বিডেনকে আশীর্বাদ করেন ও অভিনন্দন জানান।