সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব দেশ জর্ডনের (Jordan) যুবরাজকে গৃহবন্দি করল সেদেশের সেনা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতাসীন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাকে গদিচ্যুত করার চক্রান্ত করেছেন তিনি। কেবল যুবরাজ হামজা বিন হুসেইনিই (Prince Hamzah bin Hussein) নয়, আরও ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিবিসি সূত্রে।
প্রয়াত নবাব হুসেইনি ও তাঁর মার্কিন বংশোদ্ভূত স্ত্রী নুরের ছোট ছেলে হামজা। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লার সৎ ভাই তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আবদুল্লার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হামজার দাবি, সেই মন্তব্যের প্রতিশোধ নিতেই তাঁকে তাঁর আম্মানের বাড়িতে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জর্ডন সেনা অবশ্য এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, একটি বড় চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন হামজা। কেবল তিনিই নন, জর্ডনের রাজ পরিবারের আরও এক সদস্য, আদিবাসী নেতা ও দেশের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও হাত মিলিয়েছেন বর্তমান রাজাকে সিংহাসনচ্যুত করতে। এর পিছনে বিদেশি শক্তিরও হাত দেখছে জর্ডন সেনা।
[আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে নির্মাণকাজ চলাকালীন ঢুকে পড়ল ট্রেন, তাইওয়ানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৩৬]
শনিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় হামজা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রাজদ্রোহের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তাঁকে চুপ করাতে চাইছে প্রশাসন। হামজার কথায়, ”আমি দেশের সরকারের অধঃপতনের জন্য দায়ী নই। গত ১৫-২০ বছরে দুর্নীতি হোক বা কিংবা শাসন কাঠামোর ব্যর্থতা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, হামজার আইনজীবী জানিয়েছেন, যুবরাজকে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কারও সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও নেই। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা (US)। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রিন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জর্ডনের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লার প্রতি তাঁদের আস্থা রয়েছে।