সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। সোমবার সেদেশের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা থাকলে তবেই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে। অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুরাটের আদালত। তার জেরেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে।
বিদেশ দপ্তরের তরফে বেদান্ত বলেন, “ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলার দিকে নজর রাখছে আমেরিকা। গণতন্ত্র নিয়ে আমেরিকার মতাদর্শের কথাও ভারতীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলির মাধ্যমে দুই দেশের গণতন্ত্রই যেন সুরক্ষিত থাকে, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকে।”
[আরও পড়ুন: ফের প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ছে? নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র]
তবে রাহুল গান্ধীর ঘটনায় আমেরিকা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানিয়েছেন বেদান্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাই আসলে গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। তবে রাহুল গান্ধীর ঘটনায় আমেরিকার তরফে কোনও মতামত নেই। আমরা ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছি।” একই সঙ্গে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, “যেসমস্ত দেশের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, সেই দেশের বিরোধীদের প্রতিও নজর থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে আমাদের তরফে বিশেষ কোনও মতামত নেই। ভারতের বিচারব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েও গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিল মার্কিন প্রশাসন।
অন্যদিকে, সাংসদ পদ খারিজের পর সোমবার কংগ্রেস নেতাকে নোটিস দিয়ে সরকারি বাংলো ছাড়তে বলেছে লোকসভার হাউজিং প্যানেল। যদিও নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি রাহুল গান্ধীর টিম। তবে এই নোটিসের পরই নতুন করে রাহুলের নিরাপত্তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এবার সরকারের তরফে রাহুলকে দেওয়া z প্লাস নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হতে পারে।