সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia)। এরপর থেকেই তীব্রতা বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ক্রাইমিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটার ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। এরপরই প্রতিশোধ নিতে মত্ত হয়ে উঠেছেন পুতিন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মস্কোকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল। রুশ প্রশাসনের দাবি, যদি ইউক্রেন ন্যাটোর (NATO) সামরিক জোটে শামিল হয় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হবে বিশ্ব।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সহ সচিব আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, ”কিয়েভ খুব ভাল করে জানে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে (সেদেশের ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তি) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবেই। অবশ্য ওরা সেটাই চাইছে। সমস্যা তৈরি করে নিজেদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।” সেই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে দেন, পশ্চিম যেভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াচ্ছে তাতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ওরা সরাসরি এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ফিরল তিন বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি, মাঝরাতে ফের বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল]
সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে গণভোট করায় রাশিয়া। তারপর বিবৃতি জারি করে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দখল করার কথা ঘোষণা করেন পুতিন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই চারটি অঞ্চল এখন থেকে রাশিয়ার অংশ। কোনও মতেই এই অঞ্চলগুলি হাতছাড়া করবে না পুতিনের দেশ। অন্যদিকে, রাশিয়ার এই কাজের নিন্দায় সরব হয় গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের অংশ। কোনও ভাবেই সেখানে বিদেশি শাসন কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
এরপর থেকে বেড়েছে দুই দেশের সংঘর্ষের তীব্রতা। এদিকে আগেই ইউক্রেনের উপরে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে পুতিনকে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটোর সাধারণ সচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পুতিন তাঁর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন। নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এভাবেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত তীব্রতর আকার ধারণ করেছে।