সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারই আলাস্কায় বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের আগে যতটা সম্ভব ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিজেদের দখলে আনতে আগ্রাসী রাশিয়া। যাতে করে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে 'যুদ্ধবিরতি' নিয়ে দর কষাকষির সময় কঠিন শর্ত আরোপ পারেন পুতিন। মোদ্দা কথা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যতই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দাদাগিরি করতে আসুন, আলোচনার পুরো রাশটা যেন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিপস্টেটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী বিগত কয়েক দিনের মধ্যেই বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এলাকা দখল করেছে। তারা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে বলেই খবর। আরও জানা যাচ্ছে, রাশিয়া নতুন করে লক্ষাধিক সেনা জমায়েত করেছে ইউক্রেনে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা হামলা চালাচ্ছে উত্তর ইউক্রেন জুড়ে। ডিপস্টেট জানিয়েছে, পুতিনের সেনা ইউক্রেনের শহর কোস্টিয়ান্টিনিভকা এবং পোকরোভস্কের তিনটি গ্রামের দিকে এগিয়েছে। এর ফলে নতুন করে রাশিয়ার আক্রমণে কোণঠাসা ইউক্রেনের আমজনতা।
ইতিমধ্যেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কিকে ভর্ৎসনা করে পুতিনের প্রতি সমর্থন জুগিয়েছেন ট্রাম্প। যা নিয়ে আদপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইউরোপের অন্য দেশগুলি। কারণ, গত বছর থেকেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে গোটা ইউরোপ জুড়ে। ট্রাম্পের খামখেয়ালি মানসিকতা এবং সমর্থন পেয়ে পুতিন যদি রাশিয়া ঘেঁষা ইউরোপের অন্য দেশগুলির প্রতিও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী মনোভাব নেয়, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে ইউরোপে আরও আগুন জ্বলতে পারে। এমনকী ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে, মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মহল।
