shono
Advertisement

Russia Ukraine War: খারসন থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার, আনন্দে আত্মহারা ইউক্রেনের জনতা

কিছুদিন আগেই খারসনকে রাশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করেছিলেন পুতিন।
Posted: 08:44 PM Nov 13, 2022Updated: 08:44 PM Nov 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) শুরুর দিক থেকেই খারসন অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রেখেছিল রুশ সেনা। প্রায় ন’মাস কেটে যাওয়ার পরে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল রাশিয়া। শুক্রবারেই খারসন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে উপস্থিত হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। রুশ সেনা বিদায় নেওয়ার পরে খুশিতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কার্যত উৎসবে মেতে উঠেছেন ইউক্রেনবাসী। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই গণভোটের মাধ্যমে খারসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কিন্তু নিজের এই অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

খারসন এলাকা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। অবশেষে শুক্রবার খারসন থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। তারপরেই সমগ্র খারসনের (Kherson) দখল নেয় ইউক্রেনীয় সেনা। নীল-হলুদ জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সেনাকে স্বাগত জানিয়েছেন খারসনের বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় পরে স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইউক্রেনীয়রা। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছেন, “পুতিন আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু এই যুদ্ধ করে আসলে নিজের দেশেরই ক্ষতি করেছেন তিনি।”

[আরও পড়ুন: আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে স্বস্তিতে বাইডেন, ‘লাল ঝড়ে’র গুঞ্জন উড়িয়ে সেনেট ডেমোক্র্যাটদেরই]

দীর্ঘদিন ধরে রুশ সেনার অধীনে থাকতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে গিয়েছে খারসনের বাসিন্দাদের। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “আজকের দিনটা জীবনের সেরা দিন।” কীভাবে রুশ সেনার চোখ এড়িয়ে টানা ২০০ দিন লুকিয়ে ছিলেন, সেই কাহিনিও শুনিয়েছেন এক ব্যক্তি। দীর্ঘদিন পরে পুরোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন। কেউ বা আবার স্বাভাবিক ভাবে বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিসপত্র কিনেছেন। সব মিলিয়ে উৎসবের মেজাজ গোটা খারসন জুড়ে।

তবে যুদ্ধের আঘাত সহ্য করতে গিয়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে খারসন। প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া শহরকে ফের গড়ে তুলতে হবে। পানীয় জল, ওষুধ, খাবার- কোনও জিনিসেরই জোগান নেই খারসনে। এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে কীভাবে ফের এই শহরকে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেলেনস্কি প্রশাসনকে। 

[আরও পড়ুন:আমেরিকার আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ! টুকরো হয়ে আছড়ে পড়ল, ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement