সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনা সর্বাধিনায়ক আসিম মুনিরের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত তিনি। দিন কয়েক আগে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি। এরপরই লন্ডনে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সহযোগী তথা প্রাক্তন উপদেষ্টা মির্জা শাহজাদ আকবর। অভিযোগ, মেরে তাঁর নাক-মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে আততায়ীরা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি লন্ডনে দাঁড়িয়ে মুনিরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মির্জা। তাঁর ওই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। সেখানে মির্জাকে বলতে শোনা যায়, “গত সাড়ে তিন বছর ধরে মুনির পাকিস্তানে ভয় এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছেন। তিনি আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছেন। প্রিয়জনদের অপহরণ করেছেন। ভয় ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সব ধরণের নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদি সে সফল হত, তাহলে আজ আমরা এখানে এত সংখ্যায় থাকতাম না। যদি সে সফল হত, তাহলে পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলের বাইরে ইমরানের তিন বোন বসে থাকতেন না। এসবের একটাই অর্থ। তাঁর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।” পাক সেনা সর্বাধিনায়ককে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে, যে ব্যক্তি পোশাকের ভিতরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকেন, তিনিই একমাত্র ভয় এবং আতঙ্কগ্রস্ত। ছড়িয়ে পড়েছে।”
মির্জার এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে পাক সরকার। এসবের মধ্যেই সম্প্রতি লন্ডনে নিজের বাড়ির সামনে আক্রান্ত হন তিনি। অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর নাক-মুখ। কিন্তু কারা এই হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে মুনির। পাক সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই এই পরিণতি হয়েছে ইমরান খানের সহযোগীর।
