সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় তিন বছর পরে বরফ গলল। খুলে গেল কাতার ও সৌদির সীমান্ত। ২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সৌদি আরব-সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ। এই অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করছিল কুয়েত (Kuwait)। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আহমেদ নাসির আল শাবা জানিয়েছেন, কাতার ও সৌদির মধ্যে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই তা কার্যকরী হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের পক্ষেই সুপ্রিম রায়, স্বস্তিতে মোদি সরকার]
তিন বছর আগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের (middle east) দেশগুলি মিলে কাতারকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়। সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মিশরও (Egypt) কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কাতারের বিরুদ্ধে বরাবর ইরানের (Iran) সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা ও ইসলামি মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে (Radical Islamist Group) মদত দেওয়ার অভিযোগ করে এসেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্য প্রাচ্যের অধিকাংশ দেশগুলি। যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি কাতার।
আর কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে মধ্য প্রাচ্যের ছয় দেশের সংগঠন গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (Gulf cooperation council) বার্ষিক সভা। কথা ছিল, এই সভাতেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বৈঠকের আগেই সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের নিরিখে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সৌদি আরব ও কাতার ছাড়াও এই সংগঠনে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates), বাহরিন (Bahrain), ওমান (Oman) ও কুয়েত (Kuwait)। কাতারের প্রধান শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০১৭ সাল থেকে তাঁর দেশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এই বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেননি। নিষেধাজ্ঞা এবার তুলে নেওয়ায় এবং বিমান চলাচলের রাস্তা খুলে দেওয়ার পর তিনি এই বৈঠকে যোগ দেন কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।