সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গিকে (Jamal Khashoggi) হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকা। শুক্রবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে সৌদি যুবরাজের উপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছে বাইডেন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: অব্যাহত দুঃসময়, FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি পেল না পাকিস্তান]
মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর কলামিস্ট জামাল খাশোগ্গির হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের হাত ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও অন্য গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জো বাইডেন সৌদি রাজাকে ফোন করেছিলেন। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বন্ধু রাষ্ট্র। ইরানকে নজরে রেখে সৌদি জমিতে মার্কিন সেনাঘাঁটিও রয়েছে। এছাড়া মার্কিন অস্ত্রের বড় ক্রেতা রিযাধ। সেসব কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনও পদক্ষেপ করেননি। কিন্তু মসনদে বসে বাইডেন সাফ করে দিয়েছেন সাংবাদিক হত্যা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের এহেন নারকীয় ঘটনায় ওয়াশিংটন মূক দর্শক হয়ে থাকবে না।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি। দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগ্গির খুনের পরেই সরব হয় তুরস্ক-সহ একাধিক দেশ। প্রাথমিকভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াধ। পরে অবশ্য বলা হয়, গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হয়েছেন খাশোগ্গি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন প্রায় ২৪ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে মহম্মদ বিন সলমনের কোনও যোগ নেই বলেও সরকারিভাবে জানায় সৌদি আরব। উল্লেখ্য, মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, কলামিস্ট জামাল আহমেদ খাশোগ্গির খুনিরা প্রশিক্ষণ নেয় আমেরিকাতেই।
[আরও পড়ুন: সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে নারাজ জাপান, মায়ানমারকে দেওয়া ত্রাণে রাশ টানল টোকিও!]