সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার দু’টি মার্কিন রাজ্যের আদালত জানিয়ে দিল, গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না। ফ্লোরিডা ও কেন্টাকির প্রাদেশিক আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। আরও তিনটি প্রদেশেও গর্ভপাত বিরোধী আইনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা করছে। গত সপ্তাহেই গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট (USA Supreme Court)। সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সেলেব্রিটি থেকে আমজনতা। কিন্তু এবার শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতা করছে প্রাদেশিক আদালতগুলি।
ফ্লোরিডা সার্কিট কোর্টের বিচারক জন কুপার জানিয়েছেন, গর্ভপাত (USA Abortion Protest) সমর্থনকারী দলগুলির কাছ থেকে পিটিশন চাওয়া হয়েছে। তার উপরে ভিত্তি করেই সাময়িকভাবে গর্ভপাতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে গর্ভাবস্থার ১৫ সপ্তাহ কেটে গেলে তবেই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জন। কেন্টাকির বিচারপতির তরফে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে গর্ভপাতের উপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই তিনটি প্রাদেশিক আদালতের (USA State Court) গর্ভপাত সংক্রান্ত রায়কে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ডামাডোলে নাজেহাল ইজরায়েল,তিন মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে বসলেন ইয়াইর লাপিদ]
বেশ কয়েকটি সংস্থা দাবি জানিয়েছে, গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত অ্যাবরশনের অধিকার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংবিধানে। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। টেক্সাস, লুইসিয়ানা এবং উটাহের প্রাদেশিক আদালতেও গর্ভপাতের অধিকারকে মান্যতা দিয়ে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। আরও বেশ কিছু রাজ্যেও একই পদক্ষেপ দাবি করে সরব হয়েছ বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন। সেক্স স্ট্রাইকের মতো অভিনব প্রতিবাদেও শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
গর্ভপাত নিয়ে ২৪ জুন প্রায় পাঁচ দশক পুরনো গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন বাতিল করে দেয় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সাফ জানায়, আমেরিকায় গর্ভপাত সাংবিধানিক অধিকার নয়। ফলে মার্কিন মুলুকে প্রায় লক্ষ লক্ষ মহিলা ‘রাইট টু অ্যাবর্ট’ বা গর্ভপাতের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারপরই প্রতিবাদীদের ভিড় বাড়তে থাকে শীর্ষ আদালতের সামনে। শুধু আদালত চত্বর নয়, বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তেও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নারী স্বাধীনতার বিরোধী বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।