সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকট কাটছেই না শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। এবার সেদেশের শক্তিমন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা জানিয়ে দিলেন, আর জ্বালানি নেই দেশের ভাণ্ডারে। একদিনের প্রয়োজনের মতো জ্বালানিও অবশিষ্ট নেই দ্বীপরাষ্ট্রে। খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যা মেটানোরও কোনও উপায় নেই। কারণ শক্তিমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ২২ জুলাইয়ের আগে সেদেশে তেল আমদানি করা সম্ভব নয়। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
বিদেশি ঋণের বোঝায় ভেঙে পড়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি (Sri Lanka Crisis)। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থা। শ্রীলঙ্কায় বিদেশি মুদ্রার অভাবের জন্য অন্য দেশ থেকে তেল কিনতে পারছে না তারা। ফলে তেলের অভাবে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি পেট্রল পাম্পে তেল কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কাবাসী। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অন্তত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করছেন আমজনতা।
[আরও পড়ুন: লুহান্সকের সবচেয়ে বড় শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়া, দাবি পুতিনের বিদেশমন্ত্রীর]
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থা। আগের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ বাস চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একই হাল ট্যাক্সিরও। ফলে দরকারের সময় যানবাহন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। দোকানপাটও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আরও খারাপ খবর শুনিয়েছেন শক্তিমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “একদিনের প্রয়োজনীয় জ্বালানিও (Sri Lanka Fuel Shortage) নেই আমাদের কাছে। বেশ কিছু তেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু কেউই ২২ জুলাইয়ের আগে তেলের যোগান দিতে পারবেন না।”
কিছুদিন আগেই রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কিনতে সেদেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সেখানে রুশ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই জিনিসের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। জ্বালানির অভাবে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ে ডুবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। কবে এই দুর্দশা কাটবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন লঙ্কাবাসী।