সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল উত্তর জাপানের মিসাওয়া থেকে ৭৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৩.১ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের পরই জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এবার কি তাহলে দেড় দশক আগের ভয়াবহ সেই ফুকুশিমার স্মৃতি ফিরতে চলেছে জাপানে?
জানা গিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫মিনিট নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূল। এর পরই জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তরফে হোক্কাইডো, আওমোরি এবং ইওয়াতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। জানানো হয়েছে, সমুদ্রের ঢেউ ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা জাপানজুড়ে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলি ফাঁকা করতে শুরু করেছে সেদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভূমিকম্পের পরই সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। তবে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে সেদেশের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে। এমনটাও জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আপাতত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বাসিন্দাদের না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্প ১৪ বছর আগের ফুকুশিমার ভয়ানক স্মৃতি ফেরাতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে সুনামি। দানবীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা আণবিক কেন্দ্র। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে দেশটি। তারপরই ফুকুশিমার ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে ভয়াবহ সুনামি এবং ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কায় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ১২৫ মিলিয়নের দেশে প্রতি বছর দেড় হাজার বার ভূমিকম্প হয়। তবে অধিকাংশই মৃদু ভূমিকম্প। চলতি বছরের শুরুতেও তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। যার ফলে অন্তত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
