সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে ফের শুরু ইসলামিক স্টেট (ISIS) বনাম তালিবান লড়াই! জেহাদিদের মধ্যে পর্দার আড়ালে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে এবার ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করেছে তালিবান (Taliban)।
[আরও পড়ুন: Joe Biden: ‘কী হবে বলতে পারছি না’, আফগানিস্তান নিয়ে সংশয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট]
‘Wall Street Journal’-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে খোরাসানিকে গ্রেপ্তার করে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী। তারপর থেকে কাবুলের পুল-ই-চারখি জেলেই ছিল সে। গত রবিবার অর্থাৎ ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। তার দু’দিন পরেই ওমর খোরাসানিকে জেল থেকে বের করে হত্যা করে তালিবান জঙ্গিরা। রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট মোতাবেক আবু ওমর খোরাসানি ওরফে মওলাই জিয়াউল হকের জায়গায় এবার ইসলামক স্টেট খোরাসান শাখার প্রধান হয়েছে মওলাই আসলাম ফারুকি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের ডোলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। তারপর ২০১৮ সালে নানগরহার প্রদেশে প্রত্যাশামতো ফল না করায় খোরাসান শাখার শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জিয়াউল হককে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইসলামিক স্টেট ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়।