সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও জীবন্ত বস্তুর ছবি প্রকাশ ইসলামি আইনের পরিপন্থী। তাই সংবাদমাধ্যমে কোনও জীবিত ব্যক্তি ও প্রাণীর ছবি প্রকাশ করা যাবে না। এই মর্মেই নয়া আইন আনছে তালিবান। আফগানিস্তানের নৈতিকতা মন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই আইন জোর করে বলবৎ করবে না তালিবান। অন্তত এমনই দাবি তাদের। জেহাদিদের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, ''গোটা আফগানিস্তানে এই আইন চালু হবে। ধীরে ধীরে সর্বত্র তা লাগু করা হবে। তবে আইন বাস্তবায়নে জবরদস্তির কোনও স্থান নেই। এটা একেবারেই পরামর্শ। মানুষকে বোঝানো হবে এগুলো শরিয়া আইনের পরিপন্থী। তাই অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত।''
নতুন আইনে রয়েছে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা। জীবন্ত প্রাণীর ছবি প্রকাশের পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, ইসলামি আইনকে অবজ্ঞা করা যাবে না। পাশাপাশি কোনওভাবেই ইসলামের অবমাননা বা ব্যঙ্গ করা যাবে না। তবে এও বলা হয়েছে, আইনগুলি লাগু করার ক্ষেত্রে নাকি তেমন কঠোর পদক্ষেপ করবে না তালিবান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬-২০০১ সাল ছিল ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’র প্রথম তালিবান জমানা। ২০২১ সালে নতুন আফগানিস্তান দখল করে জেহাদিরা। ক্ষমতায় আসার পর যদিও তারা দাবি করেছিল এটা নতুন তালিবান, অচিরেই দেখা যায় তালিবান আছে তালিবানেই। শুরু হয় একই রকমের আগ্রাসন। বিশেষত নারী স্বাধীনতা চলে যায় তলানিতে। পাশাপাশি অন্যান্য অবদমন তো আছেই। গত আগস্টেই জানা গিয়েছিল, দাড়ি না থাকার 'অপরাধে' চাকরি গিয়েছে আফগানিস্তানের ২৮০ জন নাগরিকের। তাছাড়া গত এক বছরে ২১ হাজার ৩২৮টি বাদ্যযন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার কম্পিউটার অপরেটরকে অনৈতিক সিনেমা ছড়ানোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সঙ্গীত, বাদ্য, সিনেমার মতো বিনোদনকে ‘হারাম’ বা অনৈতিক তথা অপসংস্কৃতি বলে মনে করে আফগান মৌলবাদী শাসকরা। এবার নয়া আইন আনল তারা।