shono
Advertisement

হাক্কানিদের ভয়! নিজস্ব রক্ষীবাহিনী নিয়ে কাবুল ফিরল তালিবান নেতা মোল্লা বরাদর

কয়েকদিন আগে বরাদরকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে হাক্কানিরা।
Posted: 01:34 PM Oct 06, 2021Updated: 01:49 PM Oct 06, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) হাক্কানি বনাম আখুন্দজাদা গোষ্ঠীর সংঘাত অজানা নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তালিবানের অন্দরে চলা এই কলহ নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এবার নিজস্ব রক্ষীবাহিনী নিয়ে কাবুলে ফিরেছে তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর। সূত্রের খবর, কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাক্কানি গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করেছে বরাদর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তালিবান আছে তালিবানেই! সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৩ জন সদস্যকে খুন করল জেহাদিরা]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি কাবুলে ফিরেছে তালিবানের সুপ্রিম লিডার হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার ‘প্রিয়পাত্র’ মোল্লা বরাদর। তবে তার সঙ্গে ছিল নিজস্ব রক্ষীবাহিনী। আইএসআই মদতপুষ্ট ‘হাক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানির অনুরোধ সত্বেও তাদের নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করে বরাদর। বলে রাখা ভাল, কাবুলের দায়িত্বে রয়েছে হাক্কানিরা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও রয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই গোষ্ঠীর হাতে। ফলে বিশ্লেষকদের মতে, হাক্কানিদের উপর মোটেও ভরসা করতে পারছে না আখুন্দজাদা গোষ্ঠী। এখনও কান্দাহারে রয়েছে তালিবানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা জেহাদি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব।

তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে নাম উঠে এসেছিল মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদরের (Mullah Baradar)। সেই এই জঙ্গি সংগঠনের পরিচিত মুখ। নরমপন্থী এই নেতাই আমেরিকার সঙ্গে শান্তিচুক্তি চালিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই তালিবানের অন্য অংশ, বিশেষত হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কথা সামনে আসছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বরাদরের নাম নয়া আফগান সরকারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শুরুতে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনার সময় বরাদরকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের এক নেতা। ওই সংগঠনের প্রধান তথা তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিনের কাকা খলিল হাক্কানিই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, তালিবান গোষ্ঠীর বাইরে অন্য নেতা, বিভিন্ন উপজাতি নেতৃত্ব, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের মন্ত্রিসভায় শামিল করতে চাইছিল বরাদর। যাতে তা গোটা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। আর তা নিয়েই শুরু হয় বিতণ্ডা।

[আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে না তালিবান, আফগানিস্তানে ফিরতে চলেছে ‘অন্ধকার যুগ’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement