সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলল তালিবান। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে আফগানিস্তানের জেহাদি সরকার জানিয়েছে, কাবুলে জওয়াহিরির উপস্থিতি সম্পর্কে কোনও তথ্য তাদের কাছে ছিল না।
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরে আল কায়দার হাল ধরেছিল আয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman al-Zawahiri)। গত রবিবার মার্কিন ড্রোন (US drone) হানায় নিকেশ হয়েছে এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। আর তার মৃত্যুর পর থেকেই তালিবানের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করে জওয়াহিরিকে আশ্রয় দিয়েছে তালিবরা বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করেছে তালিবান সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “কাবুলে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরির উপস্থিতি সম্পর্কে কোনও তথ্য আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরশাহীর কাছে নেই। এই বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের নাইট ক্লাব যেন জতুগৃহ! জ্বলন্ত শরীরেরই দৌড় বহু মানুষের, মৃত অন্তত ১৩]
বিশ্লেষকদের মতে, ৭১ বছরের মিশরীয় জঙ্গিনেতা জওয়াহিরির মৃত্যুতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে আল কায়দা। এই ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে দোহা চুক্তির শর্ত মোতাবেক আল কায়দাকে আশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার দল। পালটা সরকারি বিবৃতিতে তালিবানের বক্তব্য, “কাবুলে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা। আমরা এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করছি। এর ফল ভোগ করতে হবে আমেরিকাকে।”
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘে তালিবানের (Taliban) দূত সুহেল শাহিন দোহা থেকে সাংবাদিকদের জন্য এক ভিডিও বিবৃতিতে বলে, “আফগান সরকার বা দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই হামলার বিষয়ে কোনও আগাম খবর ছিল না। হামলার পরে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের গোয়েন্দারা জওয়াহিরির উপস্থিতির কোনও প্রমাণ পাননি। তবে এখনও তদন্ত চলছে। সরকারের শীর্ষ কর্তারা এ বিষয়ে লাগাতার বৈঠক করছেন। তদন্তে যে তথ্য উঠে আসবে, তা বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।”
উল্লেখ্য, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ৩১ জুলাই কাবুলের একটি বাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়ে জওয়াহিরিকে খতম করা হয়েছে। ওই জঙ্গিনেতাকে হত্যা করতে আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনার জওয়ানরা পা দেননি। তাদের মতে, ২০২০ সালে দোহাতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার যে চুক্তি সই হয়েছিল, কাবুলে আল-জওয়াহিরির উপস্থিতি স্পষ্টতই সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।