সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহে ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Afghanistan Earthquake) কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই বিপর্যয়ের ফলে। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। এই ধাক্কা সামাল দিতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তালিবান সরকারের। সেই জন্য আমেরিকার হেফাজতে থাকা অর্থ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে তালিবান (Taliban)।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন (USA) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে তালিবান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ও অর্থদপ্তরের আধিকারিকরা। ভূমিকম্পের পরেই আমেরিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আফগান আমজনতার পাশে রয়েছে তারা। গতবছর তালিবানের হাতে কাবুলের পতনের পরেই আফগানিস্তানের প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ (Frozen Fund) করে দেয় আমেরিকা। তালিবান আমলে দেশের অর্থনীতি বেহাল হয়ে পড়লেও সেই অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বাইডেন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে ভোটের দামামার মাঝেই চমক, লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী বেনেট]
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই এই অর্থ আফগানিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও সময় লাগবে। রাতারাতি কোনও কাজ হওয়া সম্ভব নয়। এই কথায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে আমেরিকা? নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, “আফগানিস্তানকে অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও যোগ নেই। সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বিগ্ন আমেরিকা। সেই কারণেই তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তালিবান বা তালিব সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না আমেরিকা।”
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় বৈঠকে তুলে ধরতে চায় আমেরিকা। মেয়েদের জন্য স্কুল খোলা, মানবাধিকার রক্ষা-সহ নানা বিষয়ে তালিবানের নিন্দা করেছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন। সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী আমেরিকা। প্রসঙ্গত, ভারতের পক্ষ থেকেও আফগানিস্তানের বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।