সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষুব্ধ থাইল্যান্ডের (Thailand) বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যেকেই উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ। কারণ সম্প্রতি সেদেশের সরকারের নয়া ফরমান। মঙ্গলবারই থাইল্যান্ড সরকার পর্নহাব-সহ ১৯০টি পর্ন এবং এই ধরনের সমস্ত ওয়েবসাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ শুরু করে দিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। আর সেজন্যই ইতিমধ্যে সেখানে রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে ‘#SavePornhub’ হ্যাশট্যাগটি।
চলতি বছরের জুলাই থেকে উত্তপ্ত থাইল্যান্ড। রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্ব ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার পদত্যাগ চাইছেন বিরোধী দলের নেতারা। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজতন্ত্রের সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই সংবিধানের সংশোধন চান বিরোধীরা। পাশাপাশি চান নতুন নির্বাচন, সরকারের সমালোচকদের হয়রানির অবসান এবং গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুক্তি। তিন মাস ধরে চলা সরকার ও রাজশাসনবিরোধী বিক্ষোভ থামাতে ১৫ অক্টোবর হঠাৎ করেই দেশব্যাপী জরুরি অবস্থাও জারি করে সেদেশের সরকার। পরিস্থিতি আরও জটিল করে সরকারের একাধিক নিষেধাজ্ঞা। তারই একটি এই পর্ন ওয়েবসাইট বন্ধের বিষয়টি।
[আরও পড়ুন: চোরাগাপ্তা হামলার বদলা? ‘সার্জিকাল স্ট্রাইকে’ আল কায়দার ৫০ জেহাদিকে খতম করল ফ্রান্স]
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থাও সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। ট্রেন্ডিং ‘#SavePornhub’ হ্যাশট্যাগটি। কেউ দাবি করছেন, দেশের মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। কেউ বলেন, কী দেখবেন আর কী দেখবেন না? এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল রয়েছে দেশের মানুষের। অপর এক নেটিজেন লেখেন, এই সিদ্ধান্তের পর এদের সমর্থকরাও আর সমর্থন করবে না। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও পর্নহাব দেখার তালিকায় প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে ছিল থাইল্যান্ডের নাম। সেখানেই এধরনের নিষেধাজ্ঞায় স্বভাবতই আশ্চর্য অনেকে।
[আরও পড়ুন: রাখে হরি মারে কে! তুরস্কে ভূমিকম্পের তিনদিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার একরত্তি]