সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় রয়েছেন বটে, তবে সেই ক্ষমতার পথ বরাবর কন্টকাকীর্ণ। আর শত শত প্রতিকূলতাকে রুখে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সেই ‘লৌহমানবী’র নাম শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। যিনি শৈশব থেকেই বাবাকে দেখেছেন যোদ্ধারূপে, নেতারূপে। দেখেছেন, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বাবা মুজিবর রহমানের আজীবনের সংগ্রাম। যা তাঁর নিজের জীবনকেও সমৃদ্ধ করে তুলেছে নানাবিধ অভিজ্ঞতা। সেই হাসিনাকেই বিশেষ সম্মান দিল TIME ম্যাগাজিন। পত্রিকার সাম্প্রতিকতম সংখ্যার প্রচ্ছদে তাঁর ছবি ছাপানো হল। সঙ্গে ছোট্ট লেখা – Hard Power. পত্রিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে, বাংলাদেশে (Bangladesh) সাধারণ নির্বাচনের আগে এই সম্মান নিঃসন্দেহে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
TIME পত্রিকার সাক্ষাৎকারে সেই নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য, ”আমাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরানো কঠিন। দেশের মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন, তাঁরাই আমার শক্তি। আমাকে শেষ করে ফেললেই তা সম্ভব। আর আমি দেশবাসীর জন্য মরতেও পারি।” এমন কথা তো তাঁকেই মানায়। নিউ ইয়র্কের TIME পত্রিকার খ্যাতি নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলার নেই। তারা এভাবে সম্মানিত করেছে শেখ হাসিনাকে। প্রচ্ছদের কভারে ছবির পাশাপাশি তাঁর পরিচয় হিসেবে লেখা হয়েছে, ১৭০ মিলিয়ন দেশবাসীকে কীভাবে তিনি দারিদ্রের অন্ধকার থেকে এশিয়ার দ্রুততম আর্থিক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে খাদ্যভবনকে দায়ী করে পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি ডিলার্স সংগঠনের]
‘হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রবন্ধে আগাগোড়া মুজিবকন্যার লড়াই আর লৌহকঠিন মানসিকতার উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর আমলে দেশের উন্নয়ন, নির্বাচনে জয়ের খতিয়ান তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে বিরোধী বিএনপি-র কথা। ভোট বানচাল করতে বিএনপি যে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে, তেমন অভিযোগ উঠছে বারবার। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই সন্দিহান আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)। আর সেখানেই হাসিনা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন করানো তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ। আগামী ১০ তারিখ প্রকাশিত হবে TIME পত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হবে। সেখানেই জ্বলজ্বল করবে হাসিনার ছবি, সাক্ষাৎকার।