shono
Advertisement
Mark Carney

ট্রুডোর পথে না হেঁটে 'ভারতবন্ধু' হতে চান কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী, দমন করবেন খলিস্তানি চরমপন্থা?

কুখ্যাত খলিস্তানি নেতা নিজ্জরের খুন নিয়ে ভারতকে একের পর এক তোপ দেগে গিয়েছেন ট্রুডো।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 05:58 PM Mar 10, 2025Updated: 06:19 PM Mar 10, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের প্রমাণ বারাবার দিয়েছেন। তাঁর জমানাতেই খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুন নিয়ে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। কিন্তু ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কারনি সেই পথে হাঁটতে নারাজ। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতেই উদ্যোগী তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি কানাডায় খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্ত দমন করবেন নয়া প্রধানমন্ত্রী কারনি?

Advertisement

ট্রুডোর ইস্তফা দেওয়ার পর কানাডার মসনদে কে বসবেন, সেনিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। আগামী বছর সেদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে দলীয় ভোটে জয়ী হয়েছেন কারনি। লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবেও তাঁকে বেছে নিয়েছেন দলের সদস্যরা। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৮৫.৯ শতাংশ ভোট। কিন্তু নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "আমি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাই। দিল্লির সঙ্গে অটোয়ার অর্থনৈতিক জোটের কথা আমার অজানা নয়। বাণিজ্যিক সম্পর্কে কানাডা বৈচিত্র চায়। তাই আমি সমমনা দেশগুলোর সহযোগিতা চাই। এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ রয়েছে আমাদের কাছে।"

এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধে’ জড়িয়েছে কানাডা। সেদেশের একের পর এক পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটে জেতার পর প্রথম ভাষণে তাঁকে একহাত নিয়ে কারনি বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প ফেরায় কালো দিন শুরু হয়েছে। তিনি কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য় অযৌক্তিক শুল্ক চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না। আমরা নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলব এবং আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করব। আমরা প্রতিশোধ নেব। পালটা শুল্ক আরোপ করব। যার সর্বোচ্চ প্রভাব আমেরিকার উপর পড়বে। ওরা যদি আমাদের সম্মান দেখায় তাহলেও আমাদের শুল্ক বহাল থাকবে। কানাডা কখনই যুদ্ধকে আহ্বান জানায় না। কিন্তু কেউ যদি সেটা চায় তাহলে জয় আমাদেরই হবে।”

প্রসঙ্গত, ৫৯ বছরের কারনির সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে কাজ করেছেন। ফলে অর্থনীতি, বাণিজ্য, শুল্ক ইত্যাদি দিয়ে তাঁর সম্যক ধারণা রয়েছে। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের গুরুত্ব সম্পর্কেও তিনি অবগত। বিশ্লেষকদের মতে, এখন ব্লক রাজনীতি দেখছে বিশ্ব। আর সেই পথেই হয়তো পা বাড়াচ্ছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী। কারণ ক্ষমতায় ফিরে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি কানাডার বিভিন্ন পণ্যের উপরও একের এক কর চাপিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাই আমেরিকাকে চাপে ফেলতে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন কারনি।

উল্লেখ্য, নিজ্জরের খুন নিয়ে ভারতকে একের পর এক তোপ দেগে গিয়েছেন ট্রুডো। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এই কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গির খুন নিয়ে সরাসরি আঙুল তুলেছেন দিল্লির দিকে। দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিকদের। কিন্তু মাঝখানে ট্রুডোকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পোক্ত প্রমাণ আমরা পাইনি। সবটাই তদন্তের পর্যায় রয়েছে।” এর পরই কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার নিয়ে সরব হয় দিল্লি। পালটা দিয়ে জানানো হয়, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন ট্রুডো। এছাড়া দিল্লি বহুবার অভিযোগ জানিয়েছে যে, খলিস্তানিদের চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কানাডা। সেখানে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই ভারতকে কাছে টানতে এই খলিস্তানি চরমপন্থাকে কারনি দমন করেন কি না সেদিকেই নজর কূটনীতিকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের প্রমাণ বারাবার দিয়েছেন।
  • তাঁর জমানাতেই খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুন নিয়ে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক।
  • কিন্তু ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কারনি সেই পথে হাঁটতে নারাজ।
Advertisement