shono
Advertisement

‘সাদা বাড়ি’থেকে ট্রাম্পের বিদায়বেলায় ক্ষমা প্রার্থনার বন্যা, তালিকায় ঘনিষ্ঠরাও

ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছ 'পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি'।
Posted: 01:35 PM Dec 18, 2020Updated: 01:35 PM Dec 18, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হতে সময় বিশেষ নেই। হোয়াইট হাউসে আর মাত্র কয়েকদিনের অতিথি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকার সুবাদে তাঁর হাতে রয়েছ ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে ট্রাম্পের হাতে। আর এর ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের দরবারে। এই তালিকায় বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ৩৪৪ জন পড়ুয়াকে অপহরণ বোকো হারাম জঙ্গিদের! এক সপ্তাহ পর মিলল মুক্তি]

রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিদায়বেলায় অনেকেই চাইছেন শেষ মুহূর্তে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁদের সাজা মকুব করে দিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এই তালিকায় যেমন দাগি অপরাধী রয়েছে, তেমনই রয়েছেন কিছু তদন্তাধীন ব্যবসায়ী। এই সব ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট কর্তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে তদন্ত চলছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বিডেনের কাছে ট্রাম্পের হার নিশ্চিত হতেই প্রেসিডেন্টের দপ্তরে ফোন এবং ইমেলের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সকলেরই আরজি, প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের ক্ষমা করে দিন। CNN-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “সাজা মাফের আরজি জানিয়ে প্রচুর আবেদন জনা পড়ছে। পরিস্থিতি এমন, নিজেকে কীরকম পাগল পাগল লাগছে।” জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ২৪টিরও বেশি সাজা মকুবের আরজি ট্রাম্পের দপ্তরে জমা পড়েছে। চলতি সপ্তাহেই দুই দাগি অপরাধী অ্যালিস জনসন এবং ডিউক টার্নার হোয়াইট হাউসে ক্ষমা প্রার্থনা করে হলফনমা দাখিল করেছে। ক্ষমতায় এসে এই দু’জনের জেলের মেয়াদ কমিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ওই দু’জন পুরোপুরি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এছাড়া, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সংস্থা ‘ট্রাম্প অরগানাইজেশন’-এর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার অ্যালেন উইসেলবার্গকেও ‘ক্ষমা’ করে দিতে পারেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্পোটের সংস্থাকে ‘মুখবন্ধ রাখার জন্য ঘুষ’ দেওয়ার অভিযোগ ছিল। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় আমেরিকার বহু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়া-সহ নানা বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁরাও এক এক করে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আবেদন করেছেন ট্রাম্পের কাছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে তাঁর প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে (Michael Flynn) ক্ষমা করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্লিন এফবিআইকে মিথ্যা বলা নিয়ে দু’বার নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন। ২০১৬’র শেষ এবং ২০১৭’র শুরুতে যখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বারাক ওবামা থেকে ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর হচ্ছিল, সে সময় এক রাশিয়ান কূটনৈতিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ফ্লিনের। সে ব্যাপারে তিনি মার্কিন তদন্তকারী সংস্থাকে মিথ্যা বলেছিলেন। পরে ২০১৬ নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়। তখনই হোয়াইট হাউসের একমাত্র কর্মী হিসেবে নিজের দোষ স্বীকার করেন ফ্লিন।

[আরও পড়ুন: শার্লি এবদো পত্রিকার অফিসে হামলার মূলচক্রীর ৩০ বছরের জেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement