সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানি তাণ্ডব অব্যাহত আফগানিস্তানে (Afghanistan)। এবার টেলিভিশনের সঞ্চালককে গান পয়েন্টে রেখে নিজেদের স্তুতিমূলক খবর পাঠ করাল জঙ্গিরা। দৃঢ়কণ্ঠে সঞ্চালককেও দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে হল, তালিবানকে ভয় পাবেন না। কাবুলের এক নিউজ চ্যানেলের অফিসে ঢুকে জঙ্গিদের এই দাপটের ভিডিও নিমেষে ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায়। যতই প্রশস্তিবাক্য থাকুক, ভিডিও দেখেই শিহরিত আফগানরা।
আফগানিস্তানে ক্ষমতার মসনদে বসার পর তালিবান (Taliban) কথা দিয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কিন্তু অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মতো এটাও বাস্তবায়িত করেনি। বরং উলটোপথে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। হুমকি, হামলার পর এবার সরাসরি নিউজ চ্যানেলের অফিসে ঢুকে নিজেদের ভয়াবহ রূপ তুলে ধরল জঙ্গি বাহিনী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বন্দুক নিয়ে স্টুডিওয় ঢুকে পড়েছে তালিবান। তারপর সঞ্চালকের চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁর মাথায় বন্দুক তাক করে খবর পড়াচ্ছে। তাদের নির্দেশ, দেশবাসীকে বলতে হবে যে তালিবানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: আগামিদিনে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক কোন পথে? মুখ খুললেন শীর্ষ তালিবান নেতা]
কিন্তু দেশবাসীকে আশ্বস্ত করবেন কী, তখন বন্দুকধারীদের দেখে স্যুট-টাই পরিহিত সঞ্চালক নিজেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টুডিওয় বসে ঘামছেন! প্রাণের বড় টান। তাই গান পয়েন্টে বসে তিনি অকম্পিত কণ্ঠেই সেই বার্তা পৌঁছে দিলেন দেশবাসীর কাছে। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উঠেছে হাজারও প্রশ্ন। এই কি তবে তালিবান বর্ণিত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা? যদি সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে এতটাই ছাড় দেওয়া হয়, তবে কেন সঞ্চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে খবর পড়াতে হল? কেনই বা বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা? দিন কয়েক আগেই টোলো নিউজের এক সাংবাদিক এবং তাঁর চিত্র সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: যেন নতুন জীবনের প্রতীক! বিমানবন্দরে আফগান কিশোরীর উচ্ছ্বাসের ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা]
তার আগে ভারতীয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা তো এখনও টাটকা সকলের মনে। কাবুলে তালিবান তাণ্ডবের খবর করতে গিয়ে যিনি সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত হন। তাকে জঙ্গিরাই খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তালিবান পরে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিল। তবে জঙ্গিদের মুখের কথা আর কাজে বিস্তর অমিল বরাবরই। তাই তাদের বিশ্বাস করা অসম্ভব।