সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মস্কোয় আগুনবৃষ্টি ইউক্রেনের। সোমবার গভীর রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলায় বিপর্যস্ত রাশিয়ার রাজধানী। হামলা হয়েছে অন্যত্র। এখনও পর্যন্ত হামলায় একজনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আহত ৩। সব মিলিয়ে ৩৩৭টি ড্রোন আছড়ে পড়েছে রাশিয়ায়। যার মধ্যে ৯১টি মস্কোয় আছড়ে পড়েছে। ১২৬টি কার্স্ক অঞ্চলে। এমনটাই দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। এই হামলাকেই মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা!
এর আগে গত নভেম্বরেই মস্কোয় তখনও পর্যন্ত বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালায় কিয়েভ। মোট ৩৪টি ড্রোন ছোড়া হয়। আরও ৩৬ ড্রোন ছোড়া হয় রাশিয়ার অন্যত্র। এবার সংখ্যায় সেটাকেও ছাপিয়ে গেল জেলেনস্কির দেশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আর সেখানেই আলোচনা চলাকালীন বাদানুবাদে জড়ান দুই রাষ্ট্রনেতা। তুমুল বচসার পর জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউস ছাড়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তারপরেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর মেলে, ইউক্রেনের জন্য সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করছে আমেরিকা। যতদিন পর্যন্ত না শান্তি স্থাপনের জন্য ইউক্রেনের নেতারা রাজি হবেন, ততদিন পর্যন্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে। কিন্তু এরপর ফের সেই জট খুলতে চেষ্টা করেন জেলেনস্কি।
সোমবার মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ একটি অনুষ্ঠানে জানান, “মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। ওভাল অফিসে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আমার মনে হয় এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।” মঙ্গলবার সৌদি আরবে দুপক্ষের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এর মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখে ইউক্রেন বুঝিয়ে দিল, পরিস্থিতি যাই হোক পালটা লড়াই থেকে সরতে রাজি নয় তারা। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
