সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) প্রভাব বিস্তার নিয়ে তুঙ্গে চিন ও আমেরিকার বিবাদ। এহেন পরিস্থিতিতে রুটিন মহড়ার সময় সেখানে ভেঙে পড়ল একটি অত্যাধুনিক মার্কিন এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান। ওই ঘটনায় সাতজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার]
সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌসেনা জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘USS Carl Vinson’-এর ডেকে নামার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি এফ-৩৫সি (F-35C) যুদ্ধবিমান। ওই ঘটনায় আহত হন সাত সেনা। বিমানের পাইলটকে আমেরিকান সেনা হেলিকপ্টার উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুদ্ধবিমানের বাকি আহতদের শারীরিক অবস্থাও আপাতত স্থিতিশীল। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনী। উঠে আসছে নাশকতার তত্ত্বও। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফিলিপিন্সের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জাপানে মার্কিন নৌসেনার সপ্তম নৌবহরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মার্ক ল্যাংফোর্ড মঙ্গলবার জানান, দুর্ঘটনার ফলে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীটির বিশেষ ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে জাহাজটিতে স্বাভাবিকভাবেই কাজকর্ম চলছে। ফলে মার্কিন নৌসেনার কাজে সেই অর্থে কোনও প্রভাব পড়বে না। বলে রাখা ভাল, আমেরিকা ছাড়াও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের মতো ওয়াশিংটনের মিত্র দেশগুলি।
উল্লেখ্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।